(গত দিনের পর)
এমন প্রত্যাশা নিয়ে বুড়ি আস্তে করে বাক্সের ডালা খোলে। আর সাথে সাথে ভয়ে চিৎকার দিয়ে ১০ হাত পেছনে ছিটকে পড়ে সে। জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয় যেন তার। বাক্সের ভেতর ভীষণ আকৃতির এক দৈত্য হাঁ করে আছে তার দিকে। বাক্সের ভেতরে আরো সব ভয়ঙ্কর সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু কুণ্ডলী পাকিয়ে কিলবিল করছে যেন। বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে বুড়ির দিকে। যেন এখনই খেয়ে ফেলবে তাকে।
বড় দৈত্যটির কপালে বিরাট এক চোখ। আগুনের গোলা যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে ওই চোখ থেকে। প্রকাণ্ড এক হাঁ করে বুড়ির দিকে এক চোখে চেয়ে আছে দৈত্যটি। যেন এক্ষনি গিলে খাবে তাকে। স্বপ্নেও বুড়ি এমন ভয়ঙ্কর দৈত্য দেখেনি।
‘পড়ি কি মরি’ করে বুড়ি দেয় ছুট। পেছনে তাকানোরও সময় নেই তার। দৌড়াতে দৌড়াতে ভরদুপুরে বাড়ি ফেরে সে। এসেই বুড়ি ধপ করে উঠোনে পড়ে জ্ঞান হারায়।
বুড়ো বাড়িতেই ছিল। বুড়ির এ অবস্থা দেখে সে প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। সে বালতি ভরে পানি এনে বুড়ির মাথায় ঢালে। কয়েক বালতি ঢালার পর বুড়ির জ্ঞান ফেরে। চোখে এখনো আতঙ্কের ছাপ। ভয়ে মুখফুটে কথা বলাও ভুলে গেছে বুড়ি। বুড়ো বারবার জিজ্ঞেস করায় অবশেষে বুড়ি মুখ খোলে। বলে, ‘কী বাঁচাটাই না বেঁচে গেছি আমি। আর একটু হলে দৈত্যটার পেটে চলে যেতাম।’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা