দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
চল্লিশ.
‘খুব কঠিন কাজ, তবে হাল ছাড়ব না আমি। প্রথম হওয়ার চেষ্টা করব।’
‘আমিও করব।’
‘ঠিক,’ পেছন থেকে বলল বিগ্স্। ‘গ্লিটারবাসীর মুখ উজ্জ্বল করতে হবে তোমাদের।’ জনতার দিকে ফিরল সে। ‘শুনুন, জোসি আর টেডের জন্য দোয়া করবেন আপনারা। ওরা যেন প্রথম হতে পারে।’
সবাই হাততালি আর উৎসাহ দিতে লাগল দুই রেসারকে। ওদের শহরের গর্ব জোসি ও টেড।
জোসি ও টেডের কাঁধে হাত রাখলেন এরিনা। ‘আমার ছেলেরা ফার্স্ট হবেই।’
‘দু’জনেই ফার্স্ট হতে না পারলে তো আবার একজনের মন খারাপ হবে,’ হাসল বিগ্স্। ‘যা হোক, প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিতাই। ব্যাপারটাকে সেভাবেই দেখতে হবে ওদের। এবার রেজা-সুজাকে থ্রি চিয়ার্স দিন।’
ঘনঘন আনন্দধ্বনি, থ্রি চিয়ার্স আর করতালিতে মুখরিত হলো নদীতীর। আবেগে চোখে পানি এসে গেল সুজার। হাত তুলে নাটকীয় ভঙ্গিতে বলল, ‘প্রিয় গ্লিটারবাসী, আমার ও রেজার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন। যে আদর আর অভ্যর্থনা আপনারা আমাদের দিয়েছেন, কোনো দিন ভুলব না। আরেকটা কথা, ইডিটারোড রেসে অবশ্যই আমাদের সমর্থন থাকবে গ্লিটারের পক্ষে।’ মুনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসল। ‘মুন, তোমাকেও ভুলব না আমরা।’
*
বেপোর্ট। নিউ ইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ষাট মাইল দূরে সাগরপাড়ের এই ছোট্ট শহরে একটা সুন্দর বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে রেজা-সুজাকে নিয়ে বাস করেন শখের গোয়েন্দা ফিরোজ মুরাদ। বাড়ির গ্যারেজের ওপরের ঘরে নিজেদের হেডকোয়ার্টার বানিয়েছে রেজা-সুজা। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা