২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
স র সী

মানজালা

-

আজ তোমরা জানবে মানজালা সম্পর্কে ।
এটি মিসরের উত্তর এলাকার সবচেয়ে বড় বদ্বীপীয়
হ্রদ। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
মানজালা কী? একটি বিখ্যাত হ্রদ। পোর্ট সৈয়দের কাছে নীলনদের বদ্বীপে এর অবস্থান। এটি মিসরের উত্তর এলাকার সবচেয়ে বড় বদ্বীপীয় হ্রদ। সুয়েজখাল খনন এবং এ সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের জন্য মানজালার কাছে পোর্ট সৈয়দ প্রতিষ্ঠা করা হয়। হ্রদটি একসময় সাগর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এক ফালি বালুকাময় ভূখণ্ড দ্বারা। উনিশ শতকে হ্রদটি সুয়েজখালের অংশে পরিণত হয়। এ খাল ভূমধ্যসাগরের সাথে লোহিত সাগরের সংযোগ স্থাপন করে।
২০০৮ সালে মানজালার দৈর্ঘ্য ছিল ৪৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৩২ কিলোমিটার। এটি একটি অগভীর হ্রদ। গভীরতা মাত্র চার থেকে পাঁচ ফুট। সুয়েজখাল খননের সময় এ অগভীর হ্রদ বরাবর জাহাজ চলাচল উপযোগী ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে গভীর একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়। এভাবে হ্রদটি সুয়েজখালের অংশে পরিণত হয়।
সুয়েজখাল তিনটি প্রাকৃতিক হ্রদকে আড়াআড়িভাবে ছেদ করেছে বা এ হ্রদগুলোকে চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্ত করে খালে পরিণত করা হয়েছে। এভাবে হ্রদগুলোর মধ্য দিয়েই খাল প্রবাহিত করা হয়েছে। এ হ্রদগুলোর সর্ব-উত্তরেরটিই মানজালা। খাল খননের কাজ শুরু হয় উত্তর দিক থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিকে। এভাবে তা এগিয়ে প্রথমে আনা হয় মানজালা হ্রদ পর্যন্ত। তারপর অন্য দু’টি হ্রদ পর্যন্ত।
একসময় মানজালা সুলভ মৎস্যসম্পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু দূষণ ও নিষ্কাশিত পদার্থের জন্য এর মৎস্য উৎপাদন কমে গেছে। ১৯৮৫ সালে এ হ্রদে প্রায় ৮৯ হাজার হেক্টর আয়তনের মৎস্য খামার ছিল এবং এখানে কাজ করত প্রায় ১৭ হাজার শ্রমিক বা কর্মী। মিসর সরকার হ্রদের বিশাল অংশে পলি ফেলে কৃষিভূমি তৈরি করে। কিন্তু এ প্রকল্প লাভজনক হয়নি। লবণাক্ত মাটিতে ভালো ফসল হয় না। বাজারমূল্য হিসাবে আগের উৎপাদিত মাছের চেয়ে ফসলের দাম কম। বর্তমানে হ্রদটি আগের আয়তনের বেশির ভাগ হারিয়েছে ভরাট বা শুকিয়ে ফেলার কারণে।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement