কিশোর মুসা রবিনের অভিযান
- রকিব হাসান
- ২০ জুন ২০১৮, ০০:০০
বায়ান্ন
‘তার মানে, বোঝা যাচ্ছে, সাথে ওই পাতা রাখলে মায়ানেকড়েকে আর ভয় পেতে হবে না আমাদের,’ মুসা বলল। ‘কাল নিরাপদেই বাড়ি ফিরে যেতে পারব।’
মুচকি হাসল কিশোর। ‘ঠিক। আর কোনো ভয় নেই আমাদের। নিশ্চিন্তে তার সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়ে যেতে পারব আমরা।’
‘আমারও তাই মনে হচ্ছে,’ রবিন বলল। ‘এখন তাকে দেখে মায়ানেকড়ে নয়, পোষা বিড়াল মনে হচ্ছে।’
আকাশটা কালো। কিন্তু চাঁদের আলো থাকায় পুরোপুরি অন্ধকার হতে পারছে না বনভূমি। রুপালি আলো ছড়িয়ে পড়েছে গাছের মাথায়। ঘন পাতা ভেদ করে নিচে নামতে পারছে খুব কমই, তবু পায়ে চলা পথটা দেখতে কোনো অসুবিধে হয় না।
মিস্টার উলফের পেছন পেছন এগিয়ে চলেছে ছেলেমেয়ের দল।
‘এমন কাণ্ড জীবনে দেখিনি!’ রবিন বলল।
‘ঠিক,’ তার সঙ্গে একমত হলো ফারিহা। ‘এত দ্রুত দাড়িগোঁফ গজাতে দেখিনি আর কারোর। দুপুর বেলা দেখলাম কী, আর এখন হয়েছে কী!’
‘এতেই প্রমাণ হয়, তিনি স্বাভাবিক মানুষ নন,’ কিশোর বলল।
ইতোমধ্যে খোঁচা খোঁচা ঘন দাড়িতে আবার ছেয়ে গেছে মিস্টার উলফের মুখ।
‘তার মানে,’ মুসা বলল, ‘মিসল্টের কাছ থেকে সরে গেলেই নেকড়ের ভূতটা আবার তার ঘাড়ে ভর করে।’
‘পাতা ছাড়া নিরাপদ নই আমরা,’ রবিন বলল। ‘সাথে করে কিছু নিয়ে আসতে পারলে ভালো হতো।’ বলতে না বলতেই বিকট এক চিৎকার দিয়ে থেমে গেল সে। বেরিয়ে থাকা গাছের শিকড়ে হোঁচট খেয়েছে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা