রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসবাব কেনা ও ফ্ল্যাটে উঠানোর ক্ষেতে অনিয়মের ঘটনায় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে তদন্তে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত রোববার দুটি কমিটি গঠন করেছে ।
বুধবার গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়টিতে নজর রাখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার ইকবাল মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দুদকের নজরে এসেছে। দুদক তার নিজস্ব পদ্ধতিতে এগোবে। তিনি বলেন, কথা হলো দুর্নীতি হয়েছে বা হয়নি। গণমাধ্যমের যে তথ্য সেখানে আমি দেখেছি বালিশ, কেটলি এসব বিষয়। দেখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। একটা রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তো জাম্প দিতে পারি না। সেটি দেখতে হয়, বুঝতে হয় এবং চারদিক দেখতে হয়।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আবাসন পল্লীতে আসবাব কেনাসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরিপ্রেক্ষিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিল পরিশোধ না করতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি ওই প্রকল্পের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দরপত্র, কার্যাদেশ, কেনাকাটা এবং বিল পরিশোধ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গ্রিন সিটি সম্পর্কিত দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা