১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


মানসিক চাপে ভেঙে পড়ছেন স্মিথ!

মানসিক চাপে ভেঙে পড়ছেন স্মিথ! - ছবি : ইএসপিএনক্রিকইনফো

প্রবল মানসিক চাপ? না হওয়ার কোনো কারণ নেই। একে তো ক্রিকেটের আঁতুড়ঘরে খেলতে নামা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সঙ্গে তীব্র টিপ্পনী, শিস। কিছুই যে বাদ ছিল না তাকে ‘স্বাগত’ জানাতে।
এমনকি বাদ ছিলেন না ব্রিটিশ অধিনায়ক ইওয়িন মরগানও। তার মতো করে কেউ বিশ্বকাপের আসরে মুখও খোলেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘দুই ক্রিকেটার অন্যায় করেছে। তার পর সাজা খেটেছে। তার মানেই এটা নয় যে, তারা আবার ক্রিকেটে ফিরে এলে ক্রিকেটীয় সমাজ সব কিছু দ্রুত মেনে নেবে। মানতে সময় লাগবে।’ বোঝা গিয়েছিল, এর পর স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের জন্য কীরকম অভ্যর্থনা থাকবে লর্ডসে।
খুব একটা বেশি ‘বু’ শুনতে হয়নি অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে। অদ্ভুত ব্যাপার!‌ সব মজুত ছিল স্টিভ স্মিথের জন্য। ‘ক্রিকেটরক্ষক’ লর্ডসও ছাড়ল না স্মিথকে। শিষ্টাচারের সব সীমাকেই লঙ্ঘন করল।
সব দেখে–শুনে কেমন যেন গুটিয়ে গেলেন স্মিথ! বিলেতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে এই প্রথম দর্শকাসনের প্রবল প্রতিরোধের সামনে পড়তে হলো তাকে। স্মিথ এই পরিস্থিতি নিজের চওড়া ব্যাট দিয়ে সামলাতে পারেননি। থতমত খেয়েছেন বারবার। দু’‌বার রান আউট করিয়ে দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে। দায়িত্ব নিয়ে রান আউট করে দিলেন সতীর্থ মার্কাস স্টয়নিসকেও! নিজের ব্যাটিংয়ের ধারেকাছে পৌঁছলেন না।
স্মিথের একটা সমস্যাও রয়েছে। ল্যাঙ্গার–পন্টিংরা কেন দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে তিন নম্বরে খেলাচ্ছেন না? উসমান খাজা কিছুতেই স্টিভ স্মিথের আগে ব্যাট করতে পারেন না। ক্রিকেটীয় যুক্তি তা–ই বলে। প্রতিটা ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাট করতে হচ্ছে স্মিথকে। সেটাও চাপ। ক্রিজে গিয়ে খানিকটা সময় নেন। সেই সুযোগও পাচ্ছেন না।
তবে দুই অস্ট্রেলীয় ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ–ডেভিড ওয়ার্নার দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিটা ম্যাচেই। দু’‌জনেই চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের গতি ফিফথ গিয়ারে নিয়ে গেছেন। মঙ্গলবারই মোট রানের নিরিখে ফিঞ্চ পৌঁছে গেলেন ৫৯৪ রানে এবং ওয়ার্নার ৫৫৩ রানে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল