তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম যখন ক্রিজে জুটি বেঁধেছিলেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন শ' ছাড়িয়ে যাবে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু ১১১ রানে এ জুটি ভাঙার পরই রানের গতি ধীর হলো। পরে সাকিব আল হাসান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আশার আলো দেখান। কিন্তু অর্ধশত রানের পার্টনারশিপের পর যখন এই জুটির ভাঙন ধরে, তখন আর দলের হাল ধরার কেউ ছিল না। ফলাফল বাংলাদেশের সংগ্রহ আটকে যায় ২৫৫ রানে।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন ওসানে থমাস।
বাংলাদেশের পঞ্চ স্তম্ভের তিনজনই অর্ধশত করেন। সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন সাকিব। এরপর মুশফিক করেন ৬২ আর তামিম ৬৩ বলে ৫০ রান। মাহমুদুল্লাহ করেন ৩০ রান।
এর আগে দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। এরপর তামিম ও মুশফিকের তালমিলে ভিত্তিটা মজবুত হয়েছিল বাংলাদেশের। এই জুটি ১১১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। তামিমের পর সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন মুশফিকও। তবে সাকিব আর মাহমুদুল্লাহ জুটি গড়ে আবারো রানের গতি বাড়িয়েছিল। কিন্তু দলীয় ১৯৩ রানে এ জুটির ভাঙন ধরান রোভম্যান পাওয়েল। ৩০ রানে সাজঘরে ফেরান মাহমুদুল্লাহকে।
তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ৬ রানে সাজঘরে ফিরেন। তার পর ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়া লিটন দাস আবার মাঠে নামেন। কিন্তু ৩ রানের বেশি যোগ করতে পারেন না। ফিরে যান সাজঘরে। তারপর মারমুখী ব্যাটিং করে ফিরেন সাকিব আর হাসান।
এরপর মাশরাফি মর্তুজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ দলের সংগ্রহ ২৫৫ রানে নিয়ে ঠেকান।
এখন বিরতি চলছে। ২৫৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি মতুর্জা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ : রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), মারলন স্যামুয়েলস, ড্যারেন ব্রাভো, দেবেন্দ্র বিশু, চন্দরপল হেমরাজ, রস্টোন টেজ, সাই হোপ, সিমরন হেটমিয়ার, কেমার রচ, কেমো পল ও ওসানে থমাস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা