২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে মেয়রপ্রার্থীকে সংবর্ধনা দিতে পারেনি বিএনপি

-

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম পৌঁছে রেলস্টেশনে সংবর্ধনা দেয়ার কথা থাকলেও পুলিশি অনুমতি পায়নি বিএনপি। এ অনুষ্ঠান বাতিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন। তিনি প্রশাসনের প্রতি একচোখা নীতি পরিহার করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো আহ্বান জানান।
গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটায় ঢাকা থেকে রেলযোগে চট্টগ্রাম পৌঁছে রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মেয়রপ্রার্থী হওয়ায় গতকাল বুধবার রেলস্টেশনে সংবর্ধনার প্রস্তুতি নেয় নগর বিএনপি। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সেখানে করা যাবে না মর্মে বিএনপি নেতাদের জানিয়ে দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও ডা: শাহাদাত চট্টগ্রাম পৌঁছার আগে থেকেই সেখানে নেতাকর্মী-সমর্থকরা ভিড় করতে থাকেন। পরে গতকাল বিকেলে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বিএনপি গণতন্ত্রের শেষ মাধ্যম ভোটের অধিকারকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ও ঢাকা সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন এখন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন মিলে একাকার হয়ে গেছে। আমরা বলতে চাই, এসব অপকর্ম থেকে সরকার ও ইসিকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় জনগণ আর ভোট কেন্দ্রমুখী হবে না।
মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম নগরীকে ঢেলে সাজানো হবে। চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত, পরিচ্ছন্ন, হেলদি সিটি, গ্রিনসিটি ও পর্যটন নগরীতে পরিণত করার জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামকে বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত করব। জনবান্ধব সাম্যের শহর হিসেবে গড়ে তুলব। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করা হবে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ও ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চুরির যে মহোৎসব দেখেছে তাতে ভোটারেরা আতঙ্কিত।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ডা: শাহাদাত চট্টগ্রামবাসীর আশা-ভরসার প্রতীক। চট্টগ্রামের মাটি বিএনপির ঐক্যবদ্ধ ঘাঁটি। চট্টগ্রামবাসী ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আজকে যেভাবে সমাবেশকে সফল করেছে ভোটের দিনও কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ডা: শাহাদাত হোসেনকে জয়ী করতে হবে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো: হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা এম এ হালিম, আলহাজ এম এ আজিজ, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, এনামুল হক এনাম, আলী আব্বাস, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম সাইফুল আলম, নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, কাজী বেলাল, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, শিহাব উদ্দিন মুবিন প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement