এখন মওলানা ভাসানীর মতো সাহসী ও প্রতিবাদী নেতার প্রয়োজন
১৩৯তম জন্মবার্ষিকীতে বক্তাদের অভিমত- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
গতকাল ১২ ডিসেম্বর ছিল মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৩৯তম জন্মবার্ষিকী। নানা আয়োজনে রাজধানী, টাঙ্গাইলে এবং জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের রায়গড় উপজেলার ধানগড়ায় দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীতে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে দেশের সব বাম রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। বাম নেতাদের উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহাবুব উল্লাহ বলেন, বিভাজনের সময় এখন নয়। পোকা খুঁজতে গেলে ঘরে উঠে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ আজ কঠিন সঙ্কটে, তাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। চার দিকে গুম, খুন, জুলুম-নিপীড়ন, আতঙ্ক। চলমান এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতি খুবই উদ্বিগ্ন। ক্ষমতাসীনদের দমন পীড়নে দেশের মানুষ অসহায় ও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিনযাপন করছে। এই পরিস্থিতির অবসান না ঘটাতে পারলে গণতন্ত্র ও সুশাসন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এখন একে অন্যের সমালোচনা করার সময় নয়, সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে। দেশে আইন আদালতসহ সব প্রতিষ্ঠানই সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, যার ফলে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মো: আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন মওলানা ভাসানীর সাবেক অনুসারী জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহাবুব উল্লাহ্, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ড. নুরুল আমিন বেপারি, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদ নেতা হান্নান আহমেদ খান বাবলু, আজমেরী বেগম ছন্দা, বেলাল হোসেন ও মেহেদী হাসান প্রমুখ।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, দেশে ও সমাজে বিচারহীনতা যুব সমাজকে অপরাধ প্রবণতা ও সম্পদ অর্জনে আগ্রহী করে তুলছে। তাই দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে মওলানা ভাসানীর রাজনীতির দিক্ষা দিতে হবে। মওলানা ভাসানী সারা জীবন মেহনতি মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির রাজনীতি করেছেন। কোনো লোভ লালসা, ক্ষমতার মোহ ও প্রলোভন তাকে স্পর্শ করেনি। মওলানা ভাসানীর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন মওলানা ভাসানী একজন বিরল প্রতিভা ও গুণের অধিকারী নেতা ছিলেন। তিনি আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত। তিনিই প্রথম মানুষের নাগরিক অধিকার নিয়ে তথা বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং সফল হন। কিন্তু আজ ভারতীয় সরকার এনআরসির নামে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক খেদাও-এর যে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বক্তারা তা প্রতিহত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা