২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গভর্নিং কমিটির কাঠামো ও পরীক্ষার গ্রেড পরিবর্তনের প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যানদের বৈঠক

-

শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে নিয়ন্ত্রিত দেশের বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের ১২ দফা সুপারিশ করেছে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ ছাড়া পাবলিক পরীক্ষার সময় এবং মূল্যায়নের মান বা গ্রেডিং নিয়ে চারটি বিকল্প প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যানদের বৈঠকে এ দু’টি পৃথক সুপারিশ-প্রস্তাবনাসহ পাবলিক পরীক্ষার সময় কমানোরও সুপারিশ করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানদের মন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে এ সুপারিশমালা ও প্রস্তাবনা মন্ত্রীর কাছে তুলে দেয়া হয় বলে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক নয়া দিগন্তকে জানান। অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ বৈঠকের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করে বলেন, বৈঠকটি অফিসিয়াল বৈঠক। এ নিয়ে বিস্তারিত বলার কিছু নেই। যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তা পরে প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে অন্য বোর্ড চেয়ারম্যানদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গ্রেড পরিবর্তনের চারটি প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাব বিচার বিশ্লেষণ করে একটি চূড়ান্ত করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও বিশ্লেষণ নিয়ে চূড়ান্ত করা হবে।
অন্য বোর্ড চেয়ারম্যানরা নয়া দিগন্তকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে এ বৈঠকে সময় বেশি দিতে পারেননি তিনি। বেলা ১টায় তিনি মন্ত্রণালয়ে আসেন। এরপর ৩০ মিনিট তার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচন হয়। গত ১২ জুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় গ্রেড পরিবর্তনের প্রস্তাবনা তৈরির একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। তার নির্দেশে আমরা চারটি প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। বোর্ডগুলো চাইছে, নীতিনির্ধারক পর্যায়ের অনুমোদন পেলে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষা থেকেই নতুন গ্রেড পদ্ধতি চালু হবে।
শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘ দিন থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি বা গভর্নিং কমিটি দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ, ভর্তিবাণিজ্যসহ শিক্ষক হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই পরিচালনা কমিটি বা গভর্নিং কমিটিতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা তাদের পছন্দের লোকজন মনোনয়নের বিরুদ্ধে মত রয়েছে। জানা গেছে, বোর্ডগুলো পরিচালনা কমিটি বা গভর্নিং কমিটিতে রাজনৈতিক নিয়োগের পরিবর্তে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এবং স্কুলের সর্বোচ্চ ক্লাসের অভিভাবকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের বিকল্প তিনটি প্রস্তাব দেয়া হয়। যদিও এ নিয়ে স্থানীয় এমপিদের প্রবল বিরোধিতা রয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: আবুল কালাম আজাদ ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল আলীমের সাথে যোগাযোগ করলে তারাও বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রণালয় ও বোর্ড সূত্র জানায়, পাবলিক পরীক্ষার গ্রেডিং, পরীক্ষার সময় কমানো এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কমিটি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বা এ-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধনের সুপারিশগুলো মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের মতামতসহ অনুমোদন পেলেই কেবল পরবর্তীতে বাস্তবায়ন হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা

সকল