২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

’৫২-ই ছিল আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সূতিকাগার

ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুরের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা : নয়া দিগন্ত -

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালে যে আন্দোলন হয়েছিল, পক্ষান্তরে সেই আন্দোলনের হাত ধরেই পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাধিকার ও স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি। আর এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন তমদ্দুন মজলিস। অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে যেই সংগঠন। গত মঙ্গলবার ছিল সেই আন্দোলনের অন্যতম এক কর্মী, প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুরের ৯০তম জন্মদিন। এই উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও ভাষা আন্দোলন সংগঠন তমদ্দুন মজলিস আয়োজোন করে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। ফুল দিয় শুভেচ্ছা জানায় বিভিন্ন সংগঠন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তমদ্দুন মজলিস কর্তৃক ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’-এর সহকারী সম্পাদক ও পরে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলনে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তার ছিল অনন্য ভূমিকা। এতে তিনি সুধীজনের প্রশংসা অর্জন করলেও সরকারের কোপানলে পড়েন। তবুও তিনি আদর্শের প্রশ্নে আপসহীনভাবে কাজ পরিচালনা করতে থাকেন। তিনি ১৯৫২ সালে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য হলে সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
অতিথিরা আরো বলেন, এই গুণী ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পেরে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করছি। বাংলার সাহিত্যাকাশে তার লেখনী উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছে। অনুষ্ঠান শেষে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
তার নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন খান, সিনিয়র নেতা এরতাজ আলম, ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি সোসাইটির সভাপতি, লেখক ও গবেষক এমদাদুল হক চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি সোসাইটির সেক্রেটারি ও মিডিয়াকর্মী জাহিদ আবেদীন, ন্যাশনাল ফর কালচার (সিএনসি) মো: আবদুল হান্নান, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের লিটন হাফিজ চৌধুরী, মো: আবুল খায়ের, মিডিয়াকর্মী মো: জসিম উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ লেবারপার্টির চেয়ারম্যান ডা: মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, সাংস্কৃতিক কর্মী মুহাম্মদ সুজন মাহমুদসহ অন্য ব্যক্তিরা।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। বাংলা ভাষার জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন তাদের মধ্যে সম্ভবত অধ্যাপক আব্দুল গফুরই একমাত্র জীবিত আছেন। তার সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত কামনা করছি, পাশাপাশি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কোনোদলীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে নয় তাদের দেশপ্রেমের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রকৃত মূল্যায়ন করা হোক।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement