২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কিশোরগঞ্জের দুই তরুণীকে রাজধানীতে নিয়ে হত্যা

পুলিশ কনস্টেবলসহ দুই ঘাতকের মৃত্যুদণ্ড

-

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরগঞ্জের দুই তরুণী আফরোজা আক্তার সুমি ও আফরোজা আক্তার ঊর্মিকে রাজধানীর একটি হোটেলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ দুই ঘাতককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১।
গতকাল রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ঘাতক পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান ওরফে হলুদ ওরফে সুজনকে (৩৯) মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপহরণের পৃথক ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আরেক ঘাতক শামীম হাওলাদার ওরফে জহিরকে (৪৭) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপহরণের পৃথক ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া মামলার বাকি ছয় আসামি মো: দিলবর হোসেন (৩১), মোস্তফা মীর রানা (৪৪), আবুল হোসেন ওরফে আবুল (৪৭), বাবুল মিয়া (৫৪), জয়নাল আবেদীন (৩৮) এবং কবির হোসেন শান্তকে (৩৪) চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে মো: দিলবর হোসেন, মোস্তফা মীর রানা এবং জয়নাল আবেদীন এই তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত দুই আসামিসহ পাঁচ আসামি পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান ওরফে হলুদ ওরফে সুজন এবং চট্টগ্রামের লালখান বাজারের একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানের কর্মচারী শামীম হাওলাদার ওরফে জহির কিশোরগঞ্জের কলেজপড়–য়া দুই তরুণী আফরোজা আক্তার ঊর্মি ও আফরোজা আক্তার সুমিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারের ওয়েস্টার্ন গার্ডেন হোটেলে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর হোটেলের দু’টি কক্ষে লাশ রেখে দু’জনেই পালিয়ে যায়। ঘটনার পর হোটেলের লোকজন দুই তরুণীর খুন হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে লাশ দু’টি সব্জির ঝুড়িতে ভরে একটি ঝুড়ি মগবাজার হাতিরঝিলের পানিতে ফেলে দেয় এবং অপর ঝুড়ি তেজগাঁও রেলস্টেশনের পাশের ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement