২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সমাপনী-ইবতেদায়ির ফল চ্যালেঞ্জ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থীর

মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশ
-

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে আপত্তি জানিয়েছে ৯৫ হাজার ৬৯১ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই ফলে আপত্তি জানিয়ে তারা ফল পরিবর্তনের আবেদন করেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৩০ ডিসেম্বর ’১৮ অনুষ্ঠিত) সময় বেশ ক’দিন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ও কিছুটা ধীরগতি করার কারণে এবার পুনঃনিরীক্ষণের সময় বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছর টেলিটক মোবাইলের অনলাইনের মাধ্যমে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হয়। খাতা পুনঃনিরীক্ষণে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সহায়তা নেবে ডিপিই।
ডিপিইর সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী অনুজ কুমার রায় বলেন, চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে এ পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি ’১৯। ফল প্রকাশের পরে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের কারণে অনেকেই আবেদন করতে পারেনি। তাই সময় বাড়ানো হয়েছে। ফল প্রকাশের পরের দিন তথা ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ৯৫ হাজার ৬৯১ জন শিক্ষার্থী ফল পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছে। আগামী মাসে মার্চের প্রথম সপ্তাহে এ পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এবার সাতটি বিভাগ থেকে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের ফল পরিবর্তনের জন্য বেশি আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে বেশি আবেদন ইংরেজি বিষয়ে প্রায় ১৭ হাজার ২২১টি, গণিতে ১৫ হাজার ৭৮১টি, বাংলা বিষয়ে ১৪ হাজার ৩৩৮টি ও বিজ্ঞানে প্রায় ১২ হাজারের মতো আবেদন জমা হয়েছে। ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলেও আপত্তি জানিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার আবেদন জমা হয়েছে। সব মিলে ৯৫ হাজার ৬৯১টি আবেদন জমা পড়েছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৭০৯টি। গত বছরের চেয়ে এবার ১৫ হাজার ৯৮২ আবেদন বেশি এসেছে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী-পিইসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী। এ পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৫ লাখ ৮ হাজার ৯০৪ জন পাস করে। তার মধ্যে ১২ লাখ ১১ হাজার ৬০০ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৪১ হাজার ২৯৬ জন ছাত্রী । প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়িতে ছেলেদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, আর মেয়েদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন। তার মধ্যে ছেলেদের মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজার ৪১১ জন ও মেয়েরা দুই লাখ ছয় হাজার ৭৮২ জন।
অন্য দিকে, ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পায় ১২ হাজার ২৬৪ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৭৪ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে পাস করে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৭ জন। পাস করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৮ জন ছাত্র ও এক লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জন ছাত্রী। গত ২২ নভেম্বর শুরু হয় পিইসি ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। শেষ হয় ৩০ নভেম্বর।
মন্ত্রণালয় ও ডিপিই’র দেয়া তথ্যানুসারে, এবারের (প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে) সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন খুদে শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন এবং ইবতেদায়িতে তিন লাখ ১৭ হাজার ৮৫৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement