২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
চসিকের সাধারণ সভায় মেয়র

চট্টগ্রাম নগর অবকাঠামো উন্নয়নে সাড়ে ৩ বছরে ৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার কাজ হয়েছে

-

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তার দায়িত্ব পালনকালীন গত ৩ বছর ৬ মাসে নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৪ হাজার ৮৮১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। ৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কাজ করা হয়। মেয়র গতকাল রোববার সকালে করপোরেশনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪২তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
সভায় কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সামসুদ্দোহা, সচিব মো: আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়াসহ করপোরেশনের পদস্থ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আওতাধীন পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস নির্মাণ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, সৌর বিদ্যুৎ এবং জাইকার অর্থায়নে সিজেপি রয়েছে। সব কয়টি প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী একটি সমন্বিত উন্নয়নের স্বাদ পাবে। যা চট্টগ্রাম পৌর ইতিহাসে বিরল।
তিনি আরো বলেন, চসিকের উন্নয়নকাজে এডিপির আওতায় ১৭টি বিএমডিএফের চারটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে এর সুফল নগরবাসীই ভোগ করবে। তিনি চলমান উন্নয়ন প্রকল্প এবং উন্নয়নকাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া আগামী ১ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন। সিটি মেয়র উন্নয়নকাজ চলাকালে জনভোগান্তিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, নগরীর যে সব স্থানে অবৈধভাবে যত্রতত্র বাজার বসে, নগরীর রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভ্যানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে, তাদের সময় নির্ধারণ করে দেয়া, নির্ধারিত সময়ের বাইরে কেউ কোনো পণ্য বেচাকেনা করতে দেয়া হবে না। এ জন্য তাদের সময় নির্ধারণ ও পরিচয় পত্র দেয়া হবে। এসব বিক্রয়কারীদের তাদের ভ্যানে পণ্যের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে তালিকায় উল্লিখিত পণ্যের বাইরে কোনো পণ্য বিক্রয় করতে পারবে না।
সভায় অর্থ ও সংস্থাপন, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য রক্ষা, নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা,পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ, যোগাযোগ, দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও বস্তি উন্নয়ন, নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, হিসাব নিরীক্ষা এবং পানি ও বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ কমিটির কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন এবং আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement