২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতিবন্ধী কোটা এক শতাংশ বজায় রাখার সুপারিশ

-

প্রতিবন্ধী আইন অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে এক শতাংশ কোটা অপরিবর্তিত রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ পদ সংরতি আছে। এ ছাড়াও রয়েছে নানা কোটা।
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে কোনো ধরনের কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরকারি কমিটির সুপারিশ যাওয়ার এক দিনের মধ্যে সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করল।
গতকাল সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতি বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, মো: হাবিবে মিল্লাত, শেখ হাফিজুর রহমান, আবদুল মতিন, লুৎফা তাহের এবং সৈয়দা সায়রা মহসীন অংশ নেন।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবন্ধী আইনে প্রদত্ত সুবিধার প্রতিফলন ঘটাতে ১ শতাংশ কোটা সংরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ পদ সংরতি। এ ছাড়াও রয়েছে নানা কোটা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার একটি কমিটি গঠন করে, ওই কমিটি মঙ্গলবার প্রতিবেদন দেয়।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করা যাবে না। প্রতিবন্ধী সুরা আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করলে আইনের সাথে সঙ্ঘাত হবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এখন ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরতি এর মধ্যে প্রতিবন্ধী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা রাখতেও উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতঃপূর্বে বলেছেন, এই কোটা বাতিল হবে না।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে গাজীপুরে অবস্থিত নারী, শিশু ও কিশোরীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের (সেফ হোম) নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের প থেকে নজর রাখার সুপারিশ করা হয়। সম্প্রতি ওই কেন্দ্রে থাকা কয়েকজন কিশোর-কিশোরী পালিয়ে গিয়েছিল।
এ ছাড়াও সংসদীয় কমিটি দেশের প্রায় ১১ হাজার হিজড়াকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে তাদের শিশুদের উপযুক্ত শিা প্রদান, যুব হিজড়াদের প্রশিণের ব্যবস্থা, প্রশিণোত্তর আর্থিক সহায়তা প্রদান, প্রবীণ হিজড়াদের বিশেষ ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করা এবং পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার পথ সুগম করতে সুপারিশ করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement