২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তূর্ণা নিশীথার চালক সিগনাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা?

- সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামকস্থানে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালকের নাম। কারণ তূর্ণার নিশীথা ট্রেনের চালক সিগনাল অমান্য করায় নাকি এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনাস্থল মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের লোকো মাস্টারকে (চালক) ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেয়া হয়েছিল। কিন্ত চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ট্রেন দুটো দুই দিকে যাচ্ছিল। একটি ট্রেনের গন্তব্য ছিল ঢাকা আর অপরটির চট্টগ্রাম। কর্মকর্তারা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে চলন্ত অবস্থায়। উদয়নকে লুপ বা সাইড লাইনে যখন পাঠানো হচ্ছিল তখন এর পেছনের তিনটি বগি মূল লাইনে থাকতেই ঢাকাগামী তূর্ণা চলে আসে এবং এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কর্মকর্তারা জানান, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরো লাশ থাকতে পারে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে। অনেকের কাটা হাত-পা উদ্ধার হচ্ছে। এদিকে আটকে পড়া একটি বগির মধ্যে একটি শিশু আটকে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোররাত তিনটার দিকে দুর্ঘটনা ঘটলেও সকাল সাতটা নাগাদ তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement