২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি

ট্রান্সফোর্স কমিটির জরুরী বৈঠক
- ছবি : নয়া দিগন্ত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রস্তুতির কাজ চলছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে ট্রাস্কফোর্স কমিটির জরুরী বৈঠক বসেছে কক্সবাজারে ট্রাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

উক্ত বৈঠকের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নেজামী বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। আনুসাঙ্গিক যে প্রক্রিয়া তা চলছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেছিল ট্রাস্কফোর্সের সদস্যরা।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে ট্রাস্কফোর্স কমিটির জরুরী বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

নুরুল আলম নেজামী আরও বলেন, ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছি। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো এ কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামালসহ সেনাবাহিনী ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা।

এইদিকে রোহিঙ্গারাও ফিরে যেতে আগ্রহী। নানা হুমকি উপেক্ষা করে অনেক রোহিঙ্গা নিজ উদ্যোগে রাখাইন ফিরে যাচ্ছে। গত ৯ আগস্টও ২১ জন রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ মিয়ানমার ফিরে গেছে।

তবে বেশ কিছু রোহিঙ্গা বলছে, মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকত্বের স্বীকৃতি এবং তাদের ওপর সংঘটিত নির্যাতনের বিচারের নিশ্চয়তা না পেলে তারা ফিরে যেতে রাজি নয়।

অপরদিকে ক্যাম্পগুলোতে প্রত্যাবাসন বিরোধী উস্কানিদাতাদের নিবৃত করা সম্ভব না হলে ফের হোঁচট খাওয়ার শংকা থেকেই যাচ্ছে।

গত জুলাই মাসের ২৭-২৯ তারিখ মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্হায়ী সচিব উ মিন্ট থু এর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের ডেলিগেশন টিম বাংলাদেশ সফর করেন। টিমের সদস্যরা দুই দিনে কয়েক দফায় ক্যাম্প গুলোতে মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের সাথে পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশ নেন। মিয়ানমার সফরকারী টিমের সাথে যুক্ত হন আসিয়ানের-আহা সেন্টারের ৫ সদস্যর প্রতিনিধি দল।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফিরে কি কি সুবিধা ভোগ করবে, জীবন-জীবিকা কিভাবে নির্বাহ হবে ও অন্যান্য অবস্থার কি পরিবর্তন হয়েছে, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ডেলিগেশন টিম। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের লিফলেটও বিতরণ করা হয়।

সৈয়দুল আমিন নামের এক রোহিঙ্গা নেতা জানান, মিয়ানমার টিমের সাথে আলোচনায় রোহিঙ্গারা নিজ জন্মভূমিতে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠে। কিন্তু জানমালের নিরাপত্তার অভাবে কেউ মুখ খুলে বলতে পারছে না। কারণ ইতোপূর্বে এ ধরণের ফিরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা বেশ কয়েক জন হত্যার শিকার হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারেনি। সে সময় উখিয়ার ঘুমধুম ও টেকনাফের টেকনাফ নাফ নদী তীরে কেরণতলী (নয়াপাড়া) প্রত্যাবাসন ঘাট নির্মাণ হয়েছিল। এরমধ্যে টেকনাফের প্রত্যাবাসন ঘাটে প্যারাবনের ভেতর দিয়ে লম্বা কাঠের জেটি, ৩৩ আধা সেমি-টিনের থাকার ঘর, চারটি শৌচাগার রয়েছে। সেখানে ১৬ আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট

সকল