ভোটকেন্দ্রে নাশকতা ঠেকাতে রোহিঙ্গাদের চলাচলে নির্দেশনা
- গোলাম আজম খান, কক্সবাজার (দক্ষিণ)
- ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৫১
রোহিঙ্গারা নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রমে জড়িয়ে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তিনদিন ক্যাম্প থেকে কোনো রোহিঙ্গা বাইরে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদেরকে নির্বাচনী কার্যক্রমে জড়ানোর পাশাপাশি ‘ভোটকেন্দ্রে নাশকতা ঘটানোর কাজে ব্যবহারের আশঙ্কা থাকায়’ নির্বাচন কমিশন থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই যাতে ক্যাম্পের বাইরে আসতে না পারে এবং কেউ যাতে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কক্সবাজারের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বন ও পাহাড় কেটে ছোট-বড় ৩০টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। কোনো কোনো গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ‘নির্বাচনী কার্যক্রমে ব্যবহার বা ভোটকেন্দ্রে নাশকতা ঘটানোর কাজে ব্যবহার করতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ২৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে ৩১ ডিসেম্বর বিকাল পর্যন্ত তিনদিন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের চলাচরের ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পের চারপাশে ৯টি পয়েন্ট ও প্রধান সড়কের ৩টি পয়েন্টে চেকপোষ্ট থাকবে। ক্যাম্পে অতিরিক্ত ৪৮০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনদিন ক্যাম্পে ভিতরে রাস্তায় ৮টি টহল টিমের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, আনসার, ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম পরিচালিত হবে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে রোহিঙ্গাদের সতর্ক করার পাশাপাশি সকল ক্যাম্পের মাঝিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাসহ সকল সংস্থার কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। জরুরী চিকিৎসাসহ একেবারেই অপরিহার্য প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে ক্যাম্পে প্রবেশ বা বাহির হতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত ৩দিন বন্ধ রাখা হবে। ক্যাম্পে অতিরিক্ত ৪৮০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পের চার পাশে ৯টি পয়েন্টে ও সড়কে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হবে। ক্যাম্পের ভিতরে রাস্তায় ৮টি টহল টিমের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, আনসার, ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।