২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেই অসহায় পরিবারের পাশে পুলিশ সুপার

সেই অসহায় পরিবারের পাশে পুলিশ সুপার - নয়া দিগন্ত।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চর চান্দিয়া এলাকার রিকশা চালক আবুল কালামের মেয়ের বিয়ের জন্য কেনাকাটা করা স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। অসহায় এই পরিবারের পাশে দাঁড়ান পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। বৃহস্পতিবার তার সহযোগিতায় হতভাগ্য ওই মেয়েটির বিয়ে সম্পন্ন হয়।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চর চান্দিয়া এলাকার রিকশা চালক আবুল কালামের ছোট মেয়ে জাহিদা বেগমের সঙ্গে একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার। আবুল কালাম মেয়ের বিয়ের জন্য স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনদের থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। বুধবার সকালে ওই টাকা নিয়ে আবুল কালাম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের কেনাকাটা করতে পৌর শহরে আসেন। পরে স্বর্ণ দোকান থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি স্বর্ণের চেইন কিনেন। দেরি হয়ে যাওয়ায় অন্যান্য বাজার বিকেলে কেনার কথা বলে অটোরিকশা করে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন। এসময় আরও তিন যুবক অটোরিকশায় ওঠে। পথিমধ্যে ওই যুবকরা কৌশলে আবুল কালামের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণের চেইনটি লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গণ্যমাধ্যমকর্মী ও পুলিশ সুপারের নজরে আসে। পরে খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ সুপার তাদেরকে বিয়ের আয়োজন করতে বলেন।

পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার নিজে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে দেন। এসময় সোনাগাজী সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ওসি (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন, ফেনী প্রেস ক্লাব একাংশের সভাপতি আবু তাহের ভূঁইয়া, ‘সহায়’ এর সমন্বয়ক মনজিলা মিমি, উপজেলার আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম, চর চান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিনসহ গণমাধ্যকর্মী ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিয়েতে পুলিশ সুপার ও ‘সহায়’ সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বর্ণালংকার, শাড়ি কাপড়, লেপ বেড়িং, একটি গরু কনের পরিবারকে প্রদানসহ বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করেন। এছাড়া চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন ও আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বর আলমগীর হোসেনকে আয়-রুজির জন্য একটি অটোরিক্সা অনুদান এবং ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস তালুকদার কনের পিতাকে একটি গাভী ক্রয়ের জন্য ৩০ হাজার ও বিয়ের খরচের জন্য ১৪ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করে দিয়েছেন।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ভবিষ্যতে কনে ও বরের পরিবারে যে কোন সমস্যায় পাশে থেকে পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না

সকল