২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মা-মেয়ে ধর্ষণ, দুই বখাটে আটক

মা-মেয়ে ধর্ষণ, দুই বখাটে আটক - ছবি : সংগৃহীত

ফেনীর দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারাহী গোবিন্দ গ্রামে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত দুই বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বারাহী গোবিন্দ গ্রামে জেলে বাড়ির প্রবাসীর স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন তার দেবর। ওই রাতে দেবরের সাথে ভাবীর অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন একই বাড়ির সেলুন দোকানদার নিপুন চন্দ্র দাস। এসময় নিপুন তার বন্ধু সাইফুল ইসলামকে ঘটনাটি অবহিত করলে রাতে তারা জোরপূর্বক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাইফুল ও নিপুন মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে। সাইফুল ইসলাম পাশ্ববর্তী বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে। নিপুন চন্দ্র দাস জেলে বাড়ির প্রভাত চন্দ্র দাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সাইফুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত বখাটে। তার বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই ও ইভটিজিংসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এঘটনার নির্যাতিত পরিবার দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দু'জনকে আটক করে। নির্যাতিতরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রোববার ফেনী সদর হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হবে।

আরো পড়ুন :

ছাত্রীনিবাসে ধর্ষণ : বান্ধবীসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর অফিস

রংপুরের একটি ছাত্রীনিবাসে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক তাজকির হোসেন ও সহযোগী বান্ধবী দুলালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক যাবিদ হাসান এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রোজিনা আখতার রোজি নগরীর লালবাগ বঙ্গভুমি ছাত্রীনিবাসে থাকতেন। একই এলাকার পূর্ব পরিচিত রংপুর সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী দুলালী বেগমও ওই ছাত্রীনিবাসে থাকতেন। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর দুপুরে দুলালী বেগম তার জন্ম দিন উপলক্ষে কেককাটা অনুষ্ঠানের জন্য নিজের রুমে রোজিনা আখতারকে ডেকে নিয়ে যান। রোজিনা দুলালীর রুমে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বোরকা পরে চোখে চশমা লাগানো তাজকির হোসেন প্রবেশ করেন দুলালীর রুমে। কিছুক্ষণ পর দুলালী বেগম রুম থেকে বের হয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি বন্ধ করে দেন। রুমে বোরখা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তাজকিরকে চিনতে পারেন রোজিনা।


এ সময় তাজকির হোসেন অস্ত্রের মুখে তাকে দুই দফায় ধর্ষণ করেন। পরে দুলালী বেগম দরজা খুলে দিলে তাজকির হোসেন বোরকা পরে রুম থেকে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় রোজিনা কোতয়ালী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করার পর পুলিশ আসামি তাজকির হোসেন ও দুলালী বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১২ জন সাক্ষ্য ও জেরা শেষে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক যাবিদ হাসান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। আদেশে ২৫ হাজার হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে যাবজ্জীবন ছাড়াও ছয় মাসের কারাদণ্ডদেশ দেন।

রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট জানান, রায়ে বাদি পক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement