শ্রেণিকক্ষে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, দপ্তরি পলাতক
- ঝালকাঠি সংবাদদাতা
- ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:১৩
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে স্কুলেই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শিশুটি ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত দপ্তরির নাম মামুন হাওলাদার (৩৩)। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত দপ্তরি মামুন গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিযুক্ত মামুন কুশঙ্গল গ্রামের রুস্তুম আলী হাওলাদারের ছেলে। এদিকে ঘটনার পর ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ওই ছাত্রী।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি বিদ্যালয় ছুটি শেষে শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যায়। শিশুটি বিদ্যালয়ের গেইটে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় দপ্তরি মামুন এসে তাকে হাত ধরে টেনে বিদ্যালয়ের ভেতরে একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে সে শিশুটিকে মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে মামুন তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বাবা ও মাকে জানায় এই ঘটনা জানায়। তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোন বিচার পায়নি।
এদিকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে ভয়ে শিশুটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য শিশুটির বাবাকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও রয়েছে অভিযুক্ত মামুনের বিরুদ্ধে।
মেয়েটির মা অভিযোগ করেন, ধর্ষণ চেষ্টার কথা জানাজানি হলে আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা গরিব, বিধায় কেউ মামুনের বিচার করেনি। পরে বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানিয়েছি, তিনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের দপ্তরি অভিযুক্ত মামুন হাওলাদার বলেন, আমি মেয়েটির বাবার কাছে টাকা পাই। পাওনা টাকা চাওয়ার কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুরন্নাহার লায়লা বলেন, আমি বিষয়টি আজকেই (মঙ্গলবার) শুনেছি। ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত দপ্তরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হবে।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ওসি মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, তবে ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা