২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবারো কাঁদলেন রিফাতের মা

আবারো কাঁদলেন রিফাতের মা - ছবি : সংগৃহীত

আদালতের এজলাসে দাড়িয়ে হাওমাও করে কাঁদলেন নিহত রিফাত শরিফের মা ও মামলার স্বাক্ষী ডেইজি বেগম। মঙ্গলবার বরগুনার শিশু আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ডেইজি বেগম ছাড়াও তার চাচাত বোন নুসরাত জাহান অনন্য এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন। শিশু আদঅলতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। তাদেরকে ১০জন আইনজীবী জেরা করেন।

মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মত বরগুনা কারাগার থেকে শিশু আসামি রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজি, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আবদুল্লাহ রায়হান, অলি উল্লাহ অলি, জয় চন্দ্র সরকার, মো. নাঈম, তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ও রাতুল সিকদার জয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক ও আরিয়ান শ্রবন আদালতে উপস্থিত হয়।

বেলা ২টায় বাদীর স্ত্রী ডেইজি বেগমের সাক্ষ্য শুরু হয়। এ সময় ডেইজি বেগম ছেলে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে হাওমাও করে কেদেঁ দেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ আমাকে আর কত পরীক্ষা করবা। পরে সাক্ষ্য দেয় রিফাতের চাচাত বোন নুসরাত জাহান অনন্যা। তিনিও আদালতে রিফাত হত্যার বর্ণনা দেন। এই দুইজন সাক্ষ্যকে বেলা ৪টা পর্যন্ত আসামি পক্ষের ১০ জন আইনজীবী ওই দুইজন সাক্ষ্যকে জেরা করেন।

দুলাল শরীফের স্ত্রী ডেইজি বেগম বলেন, আসামীরা আমার একমাত্র ছেলেকে প্রকাশ্য নির্মম ভাবে হত্যা করে। আসামিদের দেখলেই ভিডিওতে দেখা সেই ভয়ানক কোপের দৃশ্য আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে। আমি কিছুতেই মানতে পারছি না।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, সাক্ষ্যরা যেভাবে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং জেরা করেছে তাতে আমার বিশ্বাস আসামিরা ন্যায় বিচার পাবে।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, সাক্ষ্যরা যেভাবে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাতে সকল আসামিরদের সাজা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি আশা করি রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য দিয়ে মামলা প্রমান করতে সক্ষম হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০ টায় বরগুনা সরকারী কলেজ গেটের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে একদল উশৃংখল যুবক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মম ভাবে কুপিয়ে জখম করে রিফাত শরীফকে। পরে ওইদিন বিকাল সাড়ে তিনটায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় রিফাত শরীফ। ২৭ জুন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ নয়ন বন্ডসহ ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই খন্ডে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২ জুলাই পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় রিফাত হত্যার মুল আসামি নয়ন বন্ড।


আরো সংবাদ



premium cement