২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৩৩ কেজি পাঙ্গাসের দাম ৫০ হাজার টাকা!

জেলে মোঃ নাসির মিয়ার জালে ধরা পড়া ৩৩ কেচি ওজনের পাঙ্গাস মাছ - নয়া দিগন্ত

জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩৩ কেজি ওজনের পাঙ্গাস। পরে এই মাছ নিয়ে শুরু হয় হুড়োহুড়ি আর উৎসুক মানুষের ভীড়। শুক্রবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটায় বলেশ্বর নদীতে জেলে মোঃ নাসির মিয়ার জালে ৩৩ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছটি ধরা পড়ে। পরে শুক্রবার দুপুরে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসিতে এ মাছটি বিক্রি করা হয়।

পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার শংকর জানান, জেলে মোঃ নাসিরের কাছ থেকে পাঙ্গাস মাছটি ৩৩ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়। এখন মাছটি ঢাকায় নিয়ে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হবে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এই ধরণের বড় মাছ সব সময় জালে ধরা পরে না। এসকল মাছ বেশিরভাগ বড়শিতেই ধরতে পারা যায় এবং এর দামও হয় বেশি।

 

আরো পড়ুন : সেন্টমার্টিনে ধরা পড়ল ১০ লাখ টাকা দামের মাছ
গোলাম আজম খান,কক্সবাজার(দক্ষিণ), (১৪ নভেম্বর ২০১৮)

টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১টি মাছ ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় ১০ লাখ টাকায় কিনে তিনি এর দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।

সামুদ্রিক এ মাছটি মঙ্গলবার ভোর রাতে আবদুল গণির জালে ধরা পড়ে। মাছটির ওজন ৩৪ কেজি। আবদুল গণি ৮ লাখ টাকায় সেটি বিক্রি করে দেন। কিন্তু একবার হাত বদল হয়েই মাছটির দাম উঠেছে ১৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মাছটির মুল্য গিয়ে ঠেকেছে ১৩ লাখে। মাছটি এক নজর দেখার জন্য দ্বীপে রীতিমত হুলস্থল চলছে। তাছাড়া মাছটি দেখার জন্য কক্সবাজার থেকে সরকারী ও ব্যবসায়ীদের দুটি টিম স্পীডবোটে সন্ধ্যায় দ্বীপে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।


সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ‘সেন্টমার্টি দ্বীপ পশ্চিমপাড়া ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুলতান আহমদের পুত্র আবদুল গণি প্রতিদিনের মতো দ্বীপের দক্ষিণে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গেলে মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে মাছটি তার জালে ধরা পড়ে। দুপুরের দিকে দ্বীপে ফিরে আবদুল গণি মাছটি বিক্রি করেন ৮ লাখ টাকায় দামে। মাছটি কেনেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওমর মিয়ার পুত্র ফজল করিম। তিনি মাছটি ৮ লাখ টাকায় কিনে টেকনাফের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন ১০ লাখ টাকায়। স্বল্প সময়ে হাত বদল করে মাছটি বিক্রি করে ফজল করিমের ২ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।

নুর আহমদ আরো বলেন, সামুদ্রিক এ মাছটির নাম লাল পোপা। স্থানীয়ভাবে জেলেরা বলেন সোনালী পোয়া। ৩৪ কেজি ওজনের মাছটি ধরা পড়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজারের এক ব্যবসায়ী ১৩ লাখ টাকায় কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন; কিন্ত টেকনাফের ওই ব্যবসায়ী ১৫ লাখের কমে বিক্রি করতে আগ্রহী নন বলে জানা গেছে।

৩৪ কেজি ওজনের একটি মাছ এত বেশী দামে বেচা-কেনার কারণ জানতে চাইলে সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘আসলে মাছের দাম এত বেশী নয়। দামী হচ্ছে মাছটির ফুসফুস। জেলেদের ভাষায় যাকে বলা হয় পদনা বা পেসসা। যার প্রতি কেজির মুল্য কমপক্ষে ৯০ লক্ষ টাকা। মাছের এ পদনা বিদেশে রপ্তানী হয়। বিদেশে খুবই চাহিদা বড় মাছের ফুসফুসের। তা দিয়ে ওষুধ, অপারেশনের সুতাসহ দুর্লভ চিকিৎসা সামগ্রী তৈরী হয়’।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাছটি পোপা জাতের। সাধারণতঃ এত বড় পোপা বিরল। এর থাকে গভীর সমুদ্রে। সচরাচর এ জাতের এত বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়েনা। হয়ত ভাগ্যক্রমে ধরা পড়েছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল