২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চোর সনাক্তে এলাকাবাসীর ভোট

চোর সনাক্তে এলাকাবাসীর ভোট। ছবি - সংগৃহীত

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে চোর সনাক্তে এলাকাবাসী ভোট প্রদান করেছে। পত্তাশী ইউনিয়নের খেজুরতলা বাজারে সম্প্রতি ৫টি অটোভ্যান চুরি হয়। বাজার ব্যবসায়ীরা বিষয়টি একাধিকবার থানা পুলিশকে জানালেও কেউ বাদী না হওয়ায় তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। অবশেষে রোববার রাতে পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেনের উদ্যোগে বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে চোর সনাক্তে ভোটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এলাকার সাবেক প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম পান্নুর সভাপতিত্বে বাজার ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা সন্দেহকারী ব্যক্তির নাম গোপনে কাগজে লিখে ব্যালট বাক্সে প্রদান করে। বাজারের ব্যবসায়ীসহ ১৫৩ জন ব্যক্তি ভোট প্রদান করেন। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, চুরি সন্দেহে অভিযুক্ত ২ জনই রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ ছিল।

ভোট শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে ভোটে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ৩ দিনের মধ্যে চোরাই ভ্যানের মূল্য পরিশোধ করবে অন্যথায় তাদের নামে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে থানায় মামলা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউপি সদস্য নিগার সুলতানা, ফয়সাল মোর্সেদ কিসলু, সাবেক ইউপি সদস্য রুস্তম আলী তালুকদার, সমাজ সেবক এনামুল কবির প্রমুখ।

এ বিষয়ে পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, চোর সনাক্তের জন্য বাজার কমিটি ও এলাকাবাসীর মতামতের জন্যই এ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

ইন্দুরকানী থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, খেজুরতলা বাজারে ভ্যান চুরির ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

আরো দেখুন: বিদ্যালয়ের বাথরুম থেকে অচেতন অবস্থায় ছাত্রী উদ্ধার

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে মঙ্গলবার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

থানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান জানান, ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী সকালে প্রাইভেট পড়তে এসে একাডেমিক ভবনের দোতালার টয়লেটে যায়। আগে থেকেই টয়লেটে লুকিয়ে থাকা অজ্ঞাত এক দূর্বৃত্ত ওই ছাত্রীর হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে এ সময় অন্যান্য ছাত্রীরা টয়লেটে প্রবেশ করতে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পায় এবং কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরে বিষয়টি শিক্ষকদের জানালে টয়লেট থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে। ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন তালুকদার জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগমকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ মো. শাহাবুদ্দিন জানান পুলিশের একটি চৌকস দল এ ঘটনা তদন্ত করতে মাঠে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement