৯ বছর বয়সের কোমলমতি শিশু নয়ন প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। যে বয়সে তার দুরন্তপনা আর খেলার সাথীদের সাথে খেলা করার কথা, সে বয়সে এখন ভুগছে দুরারোগ্য বোন ক্যান্সারে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভুগছে সে। দিনমজুর বাবা মুহুর আলী ও মা সাবিনা খাতুনের কোলজুড়ে পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় নয়ন। দিনমজুর বাবার অভাবের সংসারে আশার আলো ছিল সে। কিন্তু সে আলো ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মায়ের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার। ছেলের চিকিৎসায় সহায়-সম্বল সব শেষ। এখন অবশিষ্ট রয়েছে শুধু বসতভিটাটুকু।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর মুহুর আলী ও মা সাবিনা জানান, নয়নের ডান পায়ের হাঁটুর কাছে প্রথমে একটি টিউমার দেখা দেয়। সেটি বড় হলে পাশর্^বর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার মদিনা ক্লিনিকে অপারেশন করানো হয়। কিন্তু অপারেশনের কিছু দিন পর সেটি ক্যান্সারে রূপ নেয়। পরে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসা করানো হয়। একে একে ১৬টি ক্যামোথেরাপি দিতে গিয়ে তাদের প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। এখন শুধু বসতভিটাটুকু ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে অসহায় ওই বাবা-মা একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্যের জন্য তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘সাবিনা খাতুন, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৯৫৭৮, কৃষি ব্যাংক, বারাদী বাজার শাখা, মেহেরপুর এবং মোবাইল : ০১৭০৩২৫১০৫৫।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা