০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঠাকুরগাঁওয়ে রেশম কারখানা চালুর উদ্যোগ আবারো স্বপ্ন দেখছেন চাষি ও শ্রমিকেরা

-

দেড় যুগ ধরে বন্ধ থাকা ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানাটি আবার চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের দু’টি মাত্র রেশম কারখানার একটি হলো রাজশাহীতে অবস্থিত অপরটি ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা। সম্প্রতি সরকার রাজশাহী রেশম কারখানাটি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমসহ ঠাকুরগাঁও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকতারা ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটিও চালুর উদ্যোগ নেন।
বাংলাদেশের রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয় আশির দশকের শুরুতে। তখন থেকে এই কারখানাটি বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু ২০০১ সালের দিকে তৎকালীন সরকার কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে কারখানাটির ১৩৪ জন শ্রমিক এবং প্রায় ১০ হাজার রেশম চাষি বেকার হয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তাদের অনেকেই আবার বাধ্য হয়ে অন্যান্য পেশায় নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি আবার স্থাপন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) করার পরও কারখানাটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে।
আবার কারখানাটি চালু করার লক্ষ্যে সম্প্রতি কারখানাটি পরিদর্শন করেন ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা: সাদেক কুরাইশী বলেন, বতর্মান সরকার অনেক রুগ্ণ ও বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো আবার চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে সফরকালে এই কারখানাটি দ্রুত চালু করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার ফলে অচিরেই এ কারখানাটি চালু করবেন বলে আমরা আশা করছি।
ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর ছিদ্দিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে রেশম কারখানা থেকে ১৯৮৫ সালে আমি আমার নতুন বউয়ের জন্য একটি রেশম এর শাড়ি ক্রয় করেছিলাম। এই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে যায়। এ কারখানাটি আবার চালুর যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে এখানকার তুত চাষিরা আবারো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। এই কারখানাটি চালু হলে ঠাকুরগাঁওসহ বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
কারখানা চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও জোনাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আকবর হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার রাজশাহী রেশম কারখানাটি চালু করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁওয়ের কারখানাটিও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
কারখানাটি চালু হলে অত্র এলাকার শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের রেশম কাপড়ের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রেশম বস্ত্র রফতানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশ আর্থিকভাকে লাভবান হবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার জনপদ ঠাকুরগাঁও নামটি যেমন কৃষি পণ্যের জন্য অত্যন্ত পরিচিত নাম। তেমনি একসময় এখানে রেশম শিল্পও বিখ্যাত ছিল। সে কারণেই ১৯৮১ সালে এখানে রেশম কারখানা স্থাপন হয় এবং কারখানাটি খুব সফলতার সাথেই ২০০১ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল। এ কারখানটি যদি আমরা চালু করতে পারি তাহলে এখানে কর্মসংস্থান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কারখানাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঠাকুরগাঁওবাসীর জন্য যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি সারা দেশের জন্যও ভূমিকা রাখবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলগামী সকল জাহাজে হামলার হুমকি হাউছিদের কংগ্রেস সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ৫০ আসন পাবে না : মোদি প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের সরিয়েছে পুলিশ চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরাইলের গফরগাঁওয়ে লরিচাকায় পিষ্ট হয়ে নারী নিহত রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের মিরসরাইয়ে তীব্র তাপদাহে মরছে মাছ : লোকসানের মুখে চাষিরা মহেশখালীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে জয়নাল

সকল