২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পানির নিচের গ্রাম কারদি

-

ভারতের গোয়া প্রদেশের একটি নিভৃত ও এক সময়ের সমৃদ্ধশালী গ্রামের নাম ‘কারদি’। এ গ্রামটি সারাবিশ্বে এখন পরিচিত একটি গ্রাম। গ্রামটির পরিচিতি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য নয়। গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে বছরের ১২ মাসের মধ্যে এ গ্রামটি প্রায় ১১ মাসই পানির নিচে ডুবে থাকে। মাত্র এক মাসের জন্য ‘কারদি’ গ্রাম পানির ওপর ভেসে ওঠে। ওই এক মাস ওই গ্রামের বাসিন্দারা তাদের নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে আসেন।
আজ থেকে প্রায় ৫৮ বছর আগের কথা। ১৯৬১ সালে গোয়া প্রদেশটিতে প্রথম বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর পরিণতিতে ‘কারদি’ গ্রামটি স¤পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন থেকেই এই গ্রামের বাসিন্দারা জানতেন যে, গ্রামটির আর কোনো চিহ্ন থাকবে না। কিন্তু প্রতি বছরের মে মাসে শুধু এক মাসের জন্য গ্রামটি পানির উপরে ভেসে ওঠে। তখন দেখা যায় গ্রামটিতে কী কী রয়ে গেছে। এ বিষয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন করেছে বিবিসি বাংলা। তাদের ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, মে মাসে পানি সরে গেলে পুরো গ্রামটিতে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, কাদামাটি, গাছের গুঁড়ি, ভেঙে পড়া ধর্মীয় উপাসনালয়, গৃহস্থালির নানা জিনিস আর পরিত্যক্ত এক বিরাণভূমি।
‘কারদি’ গ্রামের জমিতে ফলন বেশি হয় এমন কথা বহু আগে থেকেই প্রচলন ছিল। গ্রামটিতে প্রায় তিন হাজার মানুষের বাস ছিল। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। তাদের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম ছিল ধান চাষ। এ ছাড়া নারকেল চাষ, ক্যাসুনাট, আম ও কাঁঠাল ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যতম আয়ের উৎস। গ্রামটিতে হিন্দু, মুসলমান ও খ্রিষ্টান এই তিন ধর্মের মানুষ বসবাস করত। পুরো ভারতে এ গ্রামটি ছিল একটি সমৃদ্ধশালী গ্রাম। কিন্তু এ গ্রামের দৃশ্যপট বদলে গেল ১৯৬১ সালে। ওই বছর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাসীদের জানান, যদি প্রদেশের প্রথম এই বাঁধটি নির্মাণ করা হয় তাহলে দক্ষিণ গোয়ার সবাই উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, গ্রামের মানুষদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে, তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন এবং গ্রামের সবাইকে পাশের গ্রামে সরিয়ে নেয়া হবে। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ‘কারদি’ গ্রামের কিছু মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় এবং নির্মিত এই বাঁধ থেকে পানি যে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছায়নি সে গ্রামে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়। তারপরও ‘কারদি’ গ্রামের বাসিন্দারা প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকেন মে মাসের। যখন পানি নেমে যায়, তখন তারা তাদের হারিয়ে যাওয়া গ্রামে ফিরে যান। ওই গ্রামে গিয়ে তারা নিজেদের ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখেন এবং ভেঙে পড়া প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও গ্রামটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই

সকল