০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নির্বাচনের আগে অর্থ পাচার বন্ধ করুন

-

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৪৯ হাজার ১৩ কোটি ইউএস ডলার, যার পরিমাণ বাংলা টাকায় প্রায় ৩৮ লাখ কোটির সমান। ৩৭টি দেশে পাচার হওয়া এই অর্থ ভোগ করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতও। এ ছাড়া অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, বেলজিয়াম, নরওয়ে, পোল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেন, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, বেলারুশ, মরিশাসসহ আরো অনেক দেশ। সম্প্রতি অমিত বসুর প্রতিবেদনে ভারতীয় বাংলা পত্রিকা দৈনিক আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ভোগ করছে ভারত, আমেরিকাও।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ী অর্থ পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের রফতানি খাতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। আর এ আয়ের ৮০ শতাংশই বিদেশে চলে যাচ্ছে নানা পথে। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের বড় অংশের অধিকারী পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টরাই প্রকৃতভাবে এই পাচারের সাথে জড়িত। আমদানি শুল্ক না থাকায় কম দামের যন্ত্রপাতি ও মালামাল কিনে বেশি দাম দেখিয়ে অর্থ পাচার করা হচ্ছে হামেশাই। প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন ডেস্ক থেকে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়ে যাওয়া আর্থিক খাতের লুটপাটের পুরোটাই পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমেই এই লাখো কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। আর শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের নানা কারণে অপ্রদর্শিত থেকে যাওয়া টাকা দেশে বিনিয়োগের সুযোগ না থাকায় নিশ্চিতভাবেই চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এরই মধ্যে আর্থিক খাতের লুটেরা চক্রের সদস্যরা বিপুল অর্থ নিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে গড়ে তুলেছেন সেকেন্ড হোম। অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে সেসব দেশেই ফাঁদ পেতে বসেছেন শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য। কেউ কেউ অন্য দেশে ব্যাংক পর্যন্ত খুলে বসেছেন। টাকা পাচার হওয়া বা পাচার করাকে ব্যবসা ও পেশা হিসেবে নেয়া সিন্ডিকেটগুলো আন্ডার ও ওভার ইনভয়েস, হুন্ডি, এলসির পাশাপাশি চেইন শপ এবং চেইন রেস্টুরেন্টের মতো স্থায়ী পদ্ধতি খুলে বসেছেন অর্থ পাচারের স্থায়ী পদ্ধতি হিসেবে। আরো জানা যায়, বিদেশী প্রতারকদের মাধ্যমে মিলেমিশে এ দেশীয় সহযোগীরা বিভিন্ন দফায় বিভিন্ন কায়দাকানুন করে এ দেশের গরিব মানুষের বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমাদের দেশে বসবাসরত বিদেশীদের এই কূটকৌশল গত কয়েক দিন থেকে এটিএম কার্ড জালিয়াতি ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জালিয়াতি ধরা পড়াই এর প্রমাণ; গণমাধ্যম ও ইলেকট্রনিকস মাধ্যমে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ দেখেছে। আবার আরেকটি চক্র বিভিন্ন প্রতারণার জাল তৈরি করে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে, দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে লুটপাট করে নিচ্ছে ব্যাংকগুলোর অর্থ। এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়াসহ আরো বেশ কিছু ব্যাংক। এমতাবস্থায় নির্বাচনের আগে সরকারের সঠিক এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপই দেশের আর্থিক খাতকে নিরাপদ রেখে সব দুর্নীতি ও অর্থপাচার বন্ধ করে বিনিয়োগবান্ধব স্বনির্ভর অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাই আজকের প্রত্যাশা।হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল