১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


নির্যাতিত আঁখি এখন হাসপাতালে

-

স্বামী ময়নুল ইসলামের প্রহারে আঁখি আক্তার নামে এক গৃহিণী বোদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের বদেশ^রী গ্রামে আঁখিকে তার স্বামী ময়নুল ইসলাম বেদম প্রহার করে। খবর পেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর সকালে আঁখির বাবা-মাসহ আত্মীয়স্বজন ছুটে এলে ময়নুল তাদের ওপর চড়াও হয়ে আঁখির মা শরিফা বেগম ও ছোট বোন মুন্নি বেগমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বাধ্য হয়ে আঁখির বাবা আনারুল ইসলাম স্থানীয় সমাজসেবক রব্বানী ও বড়গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাত চন্দ্র বর্মনের সহায়তায় আঁখিকে উদ্ধার করে বোদা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সরেজমিন বোদা হাসপাতালে গেলে আঁখি জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের বদেশ^রী গ্রামের মুক্তারুল ইসলাম অরফে নেলভেলুর ছেলে ময়নুল ইসলামের সাথে এক লাখ টাকা মোহরানা নির্ধারণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ময়নুল ইসলামকে যৌতুক হিসেবে এক লাখ ১৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। আঁখি আরো জানান, তাদের দাম্পত্য জীবনে আলিফ নামের দুই বছরের একটি সন্তান আছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আঁখি জানান, মারধরের একপর্যায়ে তার স্বামী তাকে বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে মারধরের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। শাশুড়ি ময়না বেগমও তার ওপর নির্যাতন চালায় বলে আঁখি জানায়। নেশাখোর স্বামী ময়নুল প্রায় নেশার টাকার জন্য তাকে চাপ দেয় বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। সে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলেই তার ওপর চলে নির্যাতন। আঁখির বাবা আনারুল জানান, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে। অসহায় বাবা তার মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নারীবাদী সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ ব্যাপারে বড়গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাত চন্দ্র বর্মন জানান, রব্বানী নামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে আঁখি নির্যাতিত বলে জানতে পারি। আঁখিকে উদ্ধার করে তার বাবার কাছে তুলে দিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করার পরামর্শ দেই। বিষয়টি নিয়ে আঁখির স্বামী ময়নুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, আমি আঁখিকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে না। হাসপাতালে ভর্তি আছে সেটা তিনি জানেন বলেও জানান।


আরো সংবাদ



premium cement