সব ধর্ষণের দ্রুত বিচার চাই!
সম্প্রতি দেশে একটি ধর্ষণের ঘটনা খুব আলোচিত হচ্ছে। এই ঘটনা নোয়াখালীর সুবর্ণ চরে। ধর্ষিতা পারুল বেগমের ধর্ষকদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে শুধু গ্রেফতার দেখিয়ে ক্ষান্ত হলে চলবে না। দ্রুত এ পৈশাচিক কর্মের বিচার দেখতে চাই। এক নারীর সম্মানহানিকর ও বীভৎস এ নির্যাতনের ঘটনা সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। তবে একটা বিষয় আমাদের খুব ভাবায়, তা হলোÑ এসব ঘটনা সামাজিক মাধ্যম আর নিউজ কাভারেজ কিছুদিন গরম করে। এরপর মানুষ আবার ভুলে যায়। প্রতিবাদের সুর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সব ধর্ষণেরই সমান এবং দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। বিলম্বিত বিচার এসব ঘটনা পুনরায় ঘটার জন্য উৎসাহ জোগায়। সবার বিচার পাওয়ার সমান অধিকার রয়েছে।
আমাদের দেশে নারীদের অবমাননা নতুন কিছু নয়। অতীতেও অনেক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অনেক সময় ধর্ষণের পর অনেক নারী আর শিশুকে হত্যাও করা হয়েছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আসামিরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেঁচে যায়। শাস্তি দেয়ার সঠিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না গেলে এসব ঘৃণিত অপরাধ বন্ধ হবে না। এসব বীভৎস ঘটনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য নারীদেরও অধিক সচেতন থাকতে হবে।
দেশে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। সেদিক থেকে হলেও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারীদের আরো বেশি সোচ্চার হওয়া উচিত। অথচ বিভিন্ন মাধ্যমে নারী নেত্রীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেলেও এসব নির্যাতন আর ধর্ষণ নিয়ে তেমন সোচ্চার হতে দেখা যায় না।
আমি আবারো বলতে চাই, দুনিয়াতে সব পুরুষ খারাপ নয়। কিছু কুলাঙ্গারের জন্য আজ আমরা পুরুষ জাতি লজ্জিত। তাই সব পরিবারের উচিতÑ তাদের মেয়েদের পুরুষ সম্পর্কে নয়, খারাপ পুরুষ সম্পর্কে ধারণা দেয়া। শিশুদের বোঝাতে হবে একটা নির্দিষ্ট রেখার বাইরে সে যেন না যায়। পরিচিত আর অপরিচিত কেউ ডাকলেও যেন নিজ ঘরের সীমানা ছেড়ে না যায়। সেই সাথে সব সময় চোখ-কান খোলা রেখে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা থাকুক নারীদের মধ্যে। নিরাপদে থাকুক আমাদের দেশেসহ দুনিয়ার সকল নারী। সব ধর্ষণের বিচার সমান ভাবে এবং দ্রুত বাস্তবায়ন হোক এ কামনা করি।
কাজী সুলতানুল আরেফিন
ছাগলনাইয়া, ফেনী