৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফিলিপাইন ও জাপানকে 'লৌহবর্মভূষিত' রক্ষাকবচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিপাইন ও জাপানকে 'লৌহবর্মভূষিত' রক্ষাকবচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের - ফাইল ছবি

জাপান ও ফিলিপাইনের প্রতি মার্কিন রক্ষা প্রতিশ্রুতি 'লৌহবর্মভূষিত' বলে জানিয়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন ও জাপানকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিন্যান্ড মার্কোস জুনিয়রকে স্বাগত জানান। এর এক দিন আগে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে অভ্যর্ন্থনা জানান বলে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে।

এই অঞ্চলে চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ইন্দো-প্যাসিফিকে বেশ কয়েকটি গ্রুপ সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-ফিলিপাইন ত্রিপক্ষীয় জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটল। এর আগে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে কোয়াড গঠিত হয়েছিল। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল আকুস।

হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে বাইডেন বলেন, 'আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ হবো, আমরা সবার জন্য আরো উন্নত ভবিষ্যত গড়তে সক্ষম হবো।'

সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়, ফিলিপাইনের পালাওয়ান উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেকেন্ড টমাস শোলকে কেন্দ্রদ করে ফিলিপাইন ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভূখণ্ডগত দাবি জোরদার করার জন্য ১৯৯০-এর দশকে ফিলিপাইন ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমলের একটি পুরনো পরিবহন জাহাজ শোলে ফেলে রাখে। জাহাজটি এখন অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। কিন্তু তবুও একে কেন্দ্র করে ফিলিপাইনের মেরিন সেনারা পালাক্রমে মোতায়েন থাকে।

এদিকে চীন শোলের ওপর তার সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে। চীন মনে করে, দক্ষিণ চীনের অংশ হিসেবে এই দ্বীপের মালিকানা তারা।

ফিলিপাইন-চীন উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, 'দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের বিমান, নৌযান বা সামরিক বাহিনীর ওপর যেকোনো হামলা আমাদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিকে আলোড়িত করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের মধ্যে ১৯৫১ সালে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এ ধরনের চুক্তি এটাই প্রথম। এতে তৃতীয় পক্ষের আক্রমণের ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসা উভয় রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
আর ইন্দো-প্যাসিফিকে শক্তিশালী জোট গড়তে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রয়াসের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী কিশিদাকে সহযোগিতামূলক অংশীদার বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের প্রতিরক্ষা কৌশলে সমন্বয় সাধন করেছেন।

সূত্র : এএনআই


আরো সংবাদ



premium cement