২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেষ হলো ‘কালো’ ফেব্রুয়ারি

শেষ হলো ‘কালো’ ফেব্রুয়ারি। - ছবি : সংগৃহীত

শেষ হল কৃষ্ণাঙ্গ ইতিহাসের মাস ফেব্রুয়ারি। গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এ মাসটিকে বিশেষ স্মরণীয় করে তোলা হয়েছিল।

আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের ইতিহাস, তাদের ওপরে হওয়া নির্মম অত্যাচার, শোষণ ও প্রচণ্ড প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামের ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের কৃতিত্ব ও অবদানকে মনে রেখে গত ৫৩ বছর ধরে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি জুড়ে পালন করা হয় ‘ব্ল্যাক হিস্ট্রি মান্থ।’

এ উদযাপনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে স্কুলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানকারী কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের কথা। শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী দেখানো হয় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র। এই বিষয়ে লেখা বিভিন্ন প্রবন্ধ বা আত্মজীবনীর অংশ পড়া ও আলোচনা করা হয়, কৃষ্ণাঙ্গ কবিদের কবিতাও পাঠ করা হয়। ফেব্রুয়ারি জুড়ে স্কুল-পাঠ্যক্রমে এ ভাবেই ঢুকে পড়েন কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী, লেখক, বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদ।

স্কুলের বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন বাচ্চাদের ক্লাসেও পৌঁছে যায় এ উদযাপনের আলো। সহজ-সরল ভাষায় ছোটদের জন্য লেখা প্রবন্ধ পাঠ করা হয়, দেখানো হয় নানা ভিডিও। যা থেকে বাচ্চারা জানতে পারে এমন সব কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের কথা, যারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।

এমনই একজন জেসিকা ওয়াটকিনস। নাসার মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে আমেরিকার পঞ্চম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর ছয় মাস কাটিয়ে এসেছেন। কৃষ্ণাঙ্গ ইতিহাসের এই বিশেষ মাসে হিউস্টনের ‘ইয়েস প্রেপ নর্থওয়েস্ট সেকেন্ডারি স্কুল’-এ বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জেসিকা। মহাকাশ কেন্দ্রে জেসিকার একটি ভিডিও তখন স্কুলে প্রদর্শন করা হয়। জেসিকা জানান, কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় থাকলে অসম্ভব স্বপ্নও বাস্তব হয়।

আমেরিকায় বিজ্ঞান, কারিগরিবিদ্যা ও অঙ্ক, এই তিনটি ক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মোট পড়ুয়ার মাত্র নয় ভাগ। তার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা পাঁচ ভাগ। জেসিকার মতো একজন চরিত্র অন্য পাঁচটি কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েকে আশা জোগায়, নতুন করে স্বপ্ন দেখার উৎসাহ দেয়।

২০২৫ সালে আবার চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা করছে নাসা। অভিযানের নাম ‘আর্টেমিস’। এই অভিযানে জেসিকার অংশ নেয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জেসিকাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ‘শুধু চাঁদ নয়, তার স্বপ্ন আরো সুদূরে পাড়ি দিতে চায়। তিনি মঙ্গলের মাটিতে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখেন। আর আশা করেন, তার স্বপ্ন সংক্রমিত হোক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেয়েদের মধ্যেও।’

আমেরিকার বেশ কিছু রাজ্য ও কাউন্টিতে অতি দক্ষিণপন্থী প্রশাসনের প্রভাবে আমূল বদলে ফেলা হচ্ছে সেখানকার স্কুলের পাঠ্যক্রম। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের ওপরে কী ধরনের নির্মম অত্যাচার হতো, তার ইতিহাস জানলে নতুন প্রজন্ম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে, এই কারণ বহু পাঠ্য বই থেকে কৃষ্ণাঙ্গ ইতিহাস কার্যত মুছে ফেলা হচ্ছে। ওই পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি জুড়ে জেসিকার মতো বিভিন্ন উত্তরণের কাহিনি আমাদের মনে করিয়ে দিল যে সব কিছু ভুলে গেলে চলবে না।

সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল