২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাস্তবে না থাকলেও ট্রাম্প বললেন ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সহিংসতায় আন্টিফারও হাত রয়েছে বলে মনে করেন ট্রাম্প। - ছবি : ডয়চে ভেলে

কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিক্ষোভের মধ্যেই সহিংসতা, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পেছনে ‘আন্টিফার’ও হাত রয়েছে বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাই আন্টিফাকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’-এর তালিকায় ফেলতে চান ট্রাম্প।

কিন্তু আন্টিফা কোনো নির্দিষ্ট সংগঠন নয়, এর কোনো সদর দফতর কিংবা দলের প্রধান বলে কেউ নেই, বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক মার্ক ব্রে। তিনি বলেন, ‘এটা একধরনের রাজনীতি। এভাবে বলা যেতে পারে যে, অনেকগুলো আন্টিফা গোষ্ঠী রয়েছে, কিন্তু আন্টিফা নিজে কোনো সংগঠন নয়।’

আন্টিফা যেভাবে এসেছে
স্ট্যালিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টি অফ জার্মানি (কেপিডি) প্রথম ‘আন্টিফা’ শব্দের ব্যবহার করেছিল। জার্মান শব্দ ‘আন্টিফাসিস্টিস’-এর ছোট রূপ হলো আন্টিফা। আন্টিফাসিস্টিস এর ইংরেজি হচ্ছে অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট, বাংলায় যাকে ফ্যাসিবাদবিরোধী বলা হয়।

১৯৩২ সালে ভাইমার জার্মানিতে অনুষ্ঠিত যে নির্বাচনের মাধ্যমে এডলফ হিটলারের এনএসডিএপি দল ক্ষমতায় এসেছিলেন তাতে অংশ নিয়েছিল কেপিডি। তারা সহ সামাজিক গণতন্ত্রী ও অন্যান্য গণতন্ত্রপন্থী দলের সম্মিলিত ভোট হিটলারের দলের চেয়ে বেশি ছিল। ফলে তারা সবাই একমত হয়ে সরকার গঠন করলে হিটলার ক্ষমতায় যেতে পারতেন না।

জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা আন্টিফা মুভমেন্টকে বিভিন্ন বামপন্থী গ্রুপের ‘হিংস হওয়ার অনুপ্রেরক’ হিসেবে দেখে থাকে।

জার্মানিতে সবশেষ ২০১৭ সালে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের সময় আন্টিফার বিক্ষোভকারীদের দেখা গিয়েছিল।

চরম বামপন্থীসহ বিভিন্ন স্বশাসিত (অটোনোমাস) গ্রুপ, ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরোধিতা করা অ্যান্টি-জিওনিস্ট গ্রুপ- এদের আন্টিফা হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এসব গ্রুপের মধ্যেই এত বিভাজন যে, তারা এখনো আন্টিফার একটি নির্দিষ্ট লোগোতে স্থির হতে পারেনি।

জার্মানিতে আলোচনা
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর আন্টিফার উৎপত্তিস্থল জার্মানির রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জোট সরকারে অংশীদার দল সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডির অন্যতম প্রধান সাসকিয়া এসকেন আন্টিফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি টুইট করেছেন। তিনি তার বয়স উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘৫৮ এবং আন্টিফা। অবশ্যই।’

এরপর তার দলের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দলের বয়স উল্লেখ করা লেখা হয়, ‘১৫৭ এবং আন্টিফা। অবশ্যই।’

তবে এসপিডি অন্যতম এক প্রধানের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে চ্যান্সেলর এঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউর মহাসচিব পাউল সিমিয়াক আন্টিফার সাথে সহিংসতার সম্পর্ক থাকার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে। সহিংসতা ছাড়া।অবশ্যই আমার জন্য। এটা দুঃখের বিষয় যে, এসপিডির প্রধানের এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য করার যোগ্যতা নেই।’

তবে এসপিডি প্রধানের টুইট নিয়ে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিডিইউর যুব দল জেইউ। তারা দলের বয়স উল্লেখ করে লিখেছে, ‘৭৩ এবং হতভম্ব’।

এসপিডি প্রধান অবশ্য পরে বলেছেন, ‘আন্টিফা কোনো সংগঠন নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধিতা এমন এক বিষয় যাকে সব গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থন করা উচিত।’

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত

সকল