১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে অভিবাসীরাই

উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসা সেবায় অভিবাসীরা - ছবি : সংগৃহিত

সময় বিকাল ৩টা। লুনালিলো হোম। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের রাজধানী হনুলুলুর সুপ্ত আগ্নেয়গিরির পাদদেশে অবস্থিত বয়স্কদের একটি ডে-কেয়ার সেন্টার। এখানে নভেনা স্যানচেজ বৃদ্ধদের সেবিকা হিসেবে কাজ করেন। তিনি মূলত ফিলিপাইন থেকে এসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় সবাইকে নিয়ে কমিউন্যাল রুমে বিকেলের বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

২২ বছর আগে স্যানচেজ আমেরিকায় আসেন। এর আগে ফিলিপাইনে নার্সিংয়ের ওপরে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। তিনি সবসময় নার্সিং পেশাকে খুব পছন্দ করতেন বলে জানান আমেরিকান গণমাধ্যম ইউএন নিউজকে। তিনি জানান, খুব ছোটবেলায় আমি যখন হাসপাতাল কিংবা কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতাম নার্সদের খুব প্রশংসা করতাম।  

ফিলিপাইন থেকে যেভাবে আমেরিকা এলেন স্যানচেজ

তিনি তার দেশে খুব কষ্টের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন। তবে তিনি খুব ভাগ্যবান যে তিনি তার স্বামীর সাথে আমেরিকায় আসার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার স্বামী যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত নেভি ছিলেন।

বেশ কয়েক বছর লুনালিলোতে কাজ করেছিলেন। লুনালিলো ১৮৮৩ সালে হাওয়াই দ্বিপপুঞ্জের সাবেক রাজা উইলিয়াম লুনালিলোর নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।   

তার আশ্রয়দানকারী দেশে অন্যান্য অভিবাসীদের মতো তিনিও উপযুক্ত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছিলেন। তবে তাকে তার মাবাবাকে ত্যাগ করতে হয়েছিল। তিনি সবার থেকে একটু আলাদা ছিলেন কেননা তার দেশে থাকা মাবাবার জন্য খরচ পাঠাতে হতো। তিনি তাদের জন্য টাকা পাঠাতেন সেই সাথে তাকে চার সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল, যারা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিল।

লুনালিলোতে স্যানচেজ শুধু একা কাজ করেন না, বিশ্বের অনেক দূরবর্তী রাষ্ট্র যেমন উগান্ডা, টোঙ্গা ইকুয়েডর থেকেও অভিবাসীরা কাজ করেন।

এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ডাইন প্যালোমা নিজেও জাপান থেকে চার প্রজন্ম আগে আখের চাষাবাদের কাজে হাওয়াই এসেছিলেন।

তিনি বলেন, অভিবাসীরা হাওয়াইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকা ভালো। আমরা চাই বিভিন্ন জাতির সেবক থাকুক। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই লুনালিলোতে বিভিন্ন সাংস্কৃতির লোক আসুক।

অ্যালোহা সাংস্কৃতি

হাওয়াইয়ের আদিবাসী সংস্কৃতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ এবং এর বহুসংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের প্রতিদিনের জীবনে দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

অ্যালোহারা সাধারণত শুভেচ্ছা ‍বিনিময়ে যে শব্দ ব্যবহার করে তাতে রয়েছে গভীর সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক তাত্পর্য যা ভালবাসা, স্নেহ, শান্তি, মমতা প্রকাশ করে।

মিস পালোমা আরো জানান, ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতির মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দর্শন ধারণ করে। তাদের সাথে তাল মেলানো সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জের একটি বিষয়। তাল মেলাতে অনেক সময় লেগে যায়। তবে যারা শুরুতেই অ্যালোহার সাথে পরিচিত হয় তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না।

উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে উন্নত দেশে দক্ষ শ্রমিকদের এমন আগমণ নতুন মাত্র যোগ করেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। গত দশকে বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে অভিবাসী চিকিৎসক ও নার্সদের সংখ্যা ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র : ইউএন নিউজ

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী

সকল