‘আমরা বিশৃঙ্খল এক দেশে বাস করছি। আমি যে শহরে বাস করি সেখানে প্রায় প্রতিদিনেই বিশৃঙ্খল কোন ঘটনা ঘটতে দেখি বা শুনি। বন্দুক সহিংসতার শিকার হচ্ছে শিশুরাও....’
দুই বছর আগে একটি প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগীতায় এমনই লিখেছিলো মেয়েটি, পুরস্কারও পেয়েছিলো সেই লেখার জন্য। কিন্তু সোমবার রাতে ১৩ বছরের সেই মেয়েটিই খুন হলো বন্দুকের গুলিতে। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াওকি শহরের স্কুল ছাত্রী সান্দ্রা পার্ককে তার বাড়িতেই গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত আততায়ী। ধারণা করা হচ্ছে লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
পার্কের মা পুলিশকে বলেছেন, সেই সন্ধ্যায় তিনি দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন। তার কন্যা নিজের রুমে টিভি দেখছিলো। ১০টার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে দৌড়ে মেয়ের রুমে গিয়ে দেখেন সে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে। তার গা থেকে রক্ত ঝড়ছে। দ্রুত ৯১১ নম্বরে ফোন করে জরুরী সেবা চাইলেও মেয়েটি আর বাঁচাতে পারেননি।
পার্কের মা একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘সে বলছিলো মা, আমি গুলি খেয়েছি। পুলিশকে ফোন করো। সে কাঁদছিল না। খুবই শান্ত ছিলো। এভাবে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া তার প্রাপ্য ছিলো না’।
মিলওয়াকি শহরের মেয়র বলেন, সম্ভবত কেউ তাদের বাড়িতে গুলি করতে চেয়েছিলো কোন কারণে। হত্যার উদ্দেশ্য ছিলো না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পার্কের গায়ে লাগে গুলি।
তিনি বলেন, অথবা আততায়ী সম্ভবত কোন কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করতে বা কাউকে ভয় দেখাতে গুলি ছুড়েছিলো। যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সান্দ্রা পার্কের গায়ে লেগেছে।
এ ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা