১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


হেলিকপ্টার

-


- এই ব্যাটা এতক্ষণ লাগে তোর আসতে?
- বাবু আমিতো অন টাইমে এলাম। তোমরা মেয়েরা কী কখনো অন টাইমে কোথাও যেতে পেরেছ? আমিতো সেই হিসাব করে ২০ মিনিট লেটে এলাম।
- মানে কী? কী বলতে চাও? আমি সারা দিন মেকআপ করি?
- আমি কিন্তু এসব বলি নাই।
- তোর বলার গুষ্টি কিলাই। আজকেই তোর সাথে ব্রেকআপ।
- বাবু তুমি না হেলিকপ্টারে করে ঢাকা ঘুরতে চাইছিলা?
- এসব বলে আমার মন ভুলাতে পারবি না। ব্রেকআপ ইজ ব্রেকআপ। আর কোনো কথা নাই তোর সাথে।
- আচ্ছা বাবু কথা বলতে হবে না। বাট তোমার জন্য আমি এত কষ্ট করে একটা হেলিকপ্টার ম্যানেজ করলাম। অন্তত একদিন আমার সাথে হেলিকপ্টারটায় ঘুরো। তারপর ব্রেকআপ করে চলে যেও।
- আচ্ছা চলো।

ঝাক্কাসদা বহু কষ্টে তার গার্লফ্রেন্ডকে বুঝিয়ে-ভাজিয়ে মেইন রোডে নিয়ে এলেন।
- কই তোমার হেলিকপ্টার?
- এই যে এই তো।
- এই যে মানে কই?
ঝাক্কাসদা লাফ দিয়ে একটি ভ্যান গাড়ির ওপর উঠে বসে বললেন, আরে এটাইতো। এটাইতো হেলিকপ্টার।
- আর ইউ ম্যাড? এই ভ্যানগাড়িটাকে তোমার কোন দিক দিয়ে হেলিকপ্টার মনে হলো?
- এটা গরিবের হেলিকপ্টার। আমার বাজেটে এটাই পোষাইছে। আর ওই যে চাচাটাকে দেখতেছ, তিনি এটার পাইলট।
দাদার গার্লফ্রেন্ড ৬৯ ভোল্টেজের একটা শকড খেলেন। গরিবের হেলিকপ্টারটার দিকে তাকিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে থাকলেন। দাদা তার গার্লফ্রেন্ডকে টেনে ভ্যানের ওপর বসিয়ে দিলেন।
পাইলট সাহেব প্যাডেল চেপে তার হেলিকপ্টার চালাচ্ছিলেন। আর সেই হেলিকপ্টারের ব্যাকসিটে দাদা আর তার গার্লফ্রেন্ড।
- বাবু দেখছ?
- কী?
- গরিবের হেলিকপ্টারটায় কত মজা?
- এখানে মজার কী?
- আরে অর্জিনাল হেলিকপ্টার হলে তো তোমাকে কষ্ট করে সিটবেল্ট লাগিয়ে বসতে হতো। কিন্তু গরিবের হেলিকপ্টারে আমরা কত সুন্দর করে পাশাপাশি বসে আছি দেখছ।
- আর?
- তিন পাখার হেলিকপ্টার হলেতো শব্দের ঠেলায়, কানে ইয়াবড় একজোড়া নারিকেল ঝুলাতে হতো। কিন্তু তিন চাকার হেলিকপ্টার বিধায় কোনো সাউন্ড পলিউশন নাই। কানের ওপর নারিকেল ঝুলানোর কোনো ঝুট ঝামেলা নেই।
ঝাক্কাসদার লেইম জোক্সে তার গার্লফ্রেন্ড হো হো করে হাসতে থাকল। এই হাসাহাসির ঠেলায় ঘটে গেল বিপদ। হেলিকপ্টারটা প্রচণ্ড স্পিডে একটি স্পিড ব্রেকারের উপরে ওঠে। ঠাস করে নিচে পড়ল। কেউ ব্যালেন্স রাখতে পারল না। মজার ঠেলায় দাদা ছিটকে পড়লেন ময়লার ডাস্টবিনে। গার্লফ্রেন্ড পড়ল রাস্তায়। আর পাইলট সাহেব এর ওপর উল্টে পড়ল তার তিন চাকার হেলিকপ্টার।

দাদা উঠে এসে তার গার্লফ্রেন্ডকে টেনে তুললেন।
- বাবু তুমি বেঁচে আছ?
- হ্যাঁ তোমার গরিবের হেলিকপ্টারে উঠছিলাম। তাই এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম। ভাগ্যিস তোমার গরিবের টাইটানিকে উঠি নাই। তাহলে যে আমার হয়ে যেত টাটা-গুড-বাই! এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নাই।


আরো সংবাদ



premium cement
অপরাজেয় থেকেই বুন্দেসলিগার শিরোপা বুঝে নিল লেভারকুসেন যুদ্ধের সময় নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্ট জানাতে হবে : জাতিসঙ্ঘ অনুমোদন ছাড়া কিভাবে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রি করছিল কোম্পানিগুলো সরকারি কেন্দ্রে কৃষকেরা ধান বেচতে পারে না, লাভ খাচ্ছে দালালরা গরুর নাম উড়াল সড়ক, ওজন ৩৫ মণ ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ

সকল