২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে স্যামসাং, বার্ষিক প্রবৃৃদ্ধিতে এগিয়ে শাওমি

স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে স্যামসাং, বার্ষিক প্রবৃৃদ্ধিতে এগিয়ে শাওমি -

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসি ও ক্যানালিসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের শেষে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষস্থানে রয়েছে স্যামসাং। চীনা প্রতিষ্ঠান শাওমির ইতিহাসে বিক্রির দিক থেকে সবচেয়ে ভালো প্রান্তিক পার করেছে এ বছরই। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি প্রায় ৬২ শতাংশ বেড়েছে। স্যামসাং ও অ্যাপলের পরই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাওমি।
আইডিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে চীনা ব্র্যান্ড শাওমি, অপো ও ভিভো যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে ৪৮.৬ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রি করে ১৪.১ শতাংশ শেয়ার পেয়েছে শাওমি। আবার অপো ও ভিভো যথাক্রমে ৩৭.৫ মিলিয়ন ইউনিট এবং ৩৪.৯ মিলিয়ন ইউনিট ফোনের শিপিং করেছে। এর ফলে দু’টি সংস্থা অর্জিত শেয়ারের মাত্রা দাঁড়িয়েছে ১০.৮ ও ১০.১ শতাংশে। ক্যানালিস দাবি করেছে, স্যামসাং ৭৬.৫ মিলিয়ন ইউনিট স্মার্টফোনের শিপিং করে ২২ শতাংশ শেয়ার অর্জন করেছে। আর আইডিসি জানিয়েছে, স্যামসাং ৭৫.৩ মিলিয়ন শিপমেন্টের সাথে ২১.৮ শতাংশ শেয়ার পেয়েছে। অন্য দিকে অ্যাপল ৫২.৪ মিলিয়ন ইউনিট শিপিং করে বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষে ১৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করেছে বলে অভিমত ক্যানালিসের। যেখানে আইডিসির রিপোর্টে দেখা গেছে, এটি উল্লিখিত সময়ে ৫৫.২ মিলিয়ন শিপমেন্ট এবং ১৬ শতাংশ মার্কেট শেয়ারের মুখ দেখেছে। অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলোর সম্পর্কে ক্যানালিস জানিয়েছে, শাওমি ৪৯ মিলিয়ন ইউনিটের শিপিং করে ১৪ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করেছে। এ ছাড়া অপো ৩৭.৬ মিলিয়ন ইউনিট ফোনের শিপিং হয়েছে, যার ফলে এটি ১১ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রেকর্ড করেছে। আবার ভিভো ৩৬ মিলিয়ন ফোন বিক্রি করায় বিশ্ববাজারে এটির ১০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। বিগত তিন-চার বছরের মতোই ভারতের স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংকে পেছনে ফেলেছে শাওমি। যদিও ভারতে প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রেও স্যামসাংয়ের চেয়ে এগিয়ে গেছে অ্যাপল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে ভারতের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে, তাতে স্মার্টফোন বাজারের পুনরুদ্ধার ব্যাহত হবে। মার্চে শেষ হওয়া প্রথম প্রান্তিকে তিন কোটি ৮০ লাখ ইউনিট বিক্রির রেকর্ড হলেও সামনের দিনগুলোতে ততটা আশাবাদী চিত্র দেখা যাচ্ছে না। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের উপাত্তে এমনই শঙ্কার কথা উঠে এসেছে।


আরো সংবাদ



premium cement