সুনামগঞ্জের আলীম হত্যা মামলায় সহোদরসহ আইনজীবী নুরুল ইসলামের যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আব্দুল আলীম হত্যার ১৯ বছর পর মামলার রায়ে সহোদরসহ এক আইনজীবীর যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ১০ বছরের দণ্ড হয়েছে আরেকজনের। আর মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ৩৮ জনকে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দু‘বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। নুরুল ইসলামের ভাই সবজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। অন্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের মৃত আবদুল রহিমের ছেলে ময়নুল হককে ১০ বছরের সাজা এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের দণ্ড দেয় আদালত। রায় ঘোষণার সময় সবজুল ইসলাম ও ময়নুল হক পলাতক ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের জামিন খানের ছেলে আব্দুল আলীম। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজমল খান পরদিন হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই
থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ চন্দ্র সাহা ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ অভিযোগ তুললে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে সিআইডি তদন্ত শেষে ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতে সম্পূরক
চার্জশিট দাখিল করে। বারবার তারিখ ধার্যের পরও চার্জ গঠন না হওয়ায় বাদি পক্ষের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে মামলাটি সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। সিলেট আদালতে ওই বছরের ১৪ মে ৪১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

বাদি পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, মামলার প্রধান আসামি নুরুল ইসলামের বন্দুকের গুলিতে আব্দুল আলীম নিহত হয়েছিলেন। আদালতের রায়ে বাদি পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছেন।