২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাওড়ে তিনমাসে ট্রলার ডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানী

-

সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা হাওড়ে চলতি বছর জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে নৌদুর্ঘটনায় ৩৪ জনের  ঘটনা ঘটছে। চলতি বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও ছাতক উপজেলায় নৌকা ডুবে প্রায় ৫ জন প্রাণ হারান। এদের মধ্যে ৩ জন তাহিরপুর উপজেলার। এছাড়াও ৫ আগস্ট নেত্রকোণার মদন উপজেলায় হাওরে নৌকা ডুবে ১৭ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। ৯ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনার মধ্যবর্তী গুমাইনদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার ইনাতনগর গ্রামের ৯ জন, পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের ২ জন নেত্রকোনার মেদনী গ্রামের বাসিন্দা।

এলাকাবাসী জানান, নৌযোগাযোগে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায়ই নৌকা ডুবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার মধ্যবর্তী গুমাই নদীতে ফিটনেসবিহীন ট্রলারে যাত্রী পরিবহণের কারণে গুমাই নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। প্রথমে যে ট্রলারটি যাত্রী পরিবহণ করছিল সেই ট্রলারটি যাত্রী না নিয়ে বিয়ের ভাড়ায় চলে যায়। আর এ সুযোগে একটি ফিটনেসবিহীন ট্রলারের যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গিয়েছিল। এ কারণে গত বুধবার সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে ঠাকুরাকোনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রলারের সাথে একটি বাল্কহেড নৌকার মুখোমুখী সংঘর্ষে মর্মান্তিক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। প্রথমে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করে পরে শুক্রবার বিকেল আরো ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনার হাওড় এলাকার বিভিন্ন উপজেলায় সারা বছর চলাচলের জন্য উন্নত সড়কপথ নেই। যেগুলো রয়েছে, সেগুলোতেও নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বেশিরভাগ সড়ক ৬-৭ মাস পানির নীচে তলিয়ে থাকে। এসব সড়কে বর্ষায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে আত্মীয়-সজনের বাড়িতে, বিয়েশাদী, হাট-বাজার, ইউনিয়ন ও উপজেলায় নৌপথে চলাচল করেন ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলার দিয়ে। হাওড়ে বসবাসকারী লোকজন মনে করেন, সড়কপথে পরিবহন চলাচল করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি থাকলেও নৌপথে চলাচলে কোনো নিয়মনীতি নেই। একারণে ট্রলার বা নৌকা চালকরা নিজের ইচ্ছামত অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করেন। এ কারণেও নৌদুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। নৌপথে এরকম দুর্ঘটনারোধ করতে ট্রলার বা নৌকার ফিটনেস যাচাই, যাত্রী ধারণ ক্ষমতা, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট নিশ্চত করে দেয়া প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নৌঘাট থেকে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষার জন্য নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করা জরুরি। না হলে নৌপথে প্রাণহানীর ঘটনারোধ করা সম্ভব নয়।

জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক গ্রামের শিক্ষক আবযুল খায়ের তালুকদার বলেন, আমার একেবারেই হাওড় এলাকার মানুষ। হাওরের বৈরী আবহাওয়ার সাথে যুদ্ধ করেই বড় হয়েছি। নৌপথে চলাচলে কোনো নিয়ম-নীতি মানা হয় না। চালক ও যাত্রীরা সচেতন হলেই নৌদুর্ঘটনা অনেকটা রোধ করা সম্ভব। নৌদুর্ঘটনা বন্ধ করতে চাইলে মেরিন নীতিমালায় হাওরের চলচলকারী সকল ধরনের নৌকা-ট্রলার যানকে নিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

ধর্মপাশা উপজেলার প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক মিঠু মিয়া বলেন, সড়ক পথের মতো নৌপথে নিয়ম-নীতির দরকার। স্থানীয় সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করবেন। যেসকল নৌকা চালক এসব মানবেন না তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল