করোনার সনদ না থাকায় ভারতে নিহত ব্যক্তির লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি
- আবু তাহের রাজু, বিয়ানীবাজার (সিলেট)
- ০৫ জুন ২০২০, ১৫:০৭, আপডেট: ০৫ জুন ২০২০, ১৫:০৪
ভারতে গরু চুরি অভিযোগে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয় মৌলভীবাজারের রনজিত রিকমন। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কাছে হস্তান্তর করতে শেওলা স্থলবন্দরের নোম্যান্সল্যান্ডে নিয়ে আসে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। কিন্তু দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সকল আনুষ্ঠাানিকতা সম্পন্নের পর করোনাভাইরাস পরীক্ষা সনদ না থাকায় ওই যুবকের লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি।
কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার দিন দুয়েক পর লাশ হস্তান্তর হবার সিদ্ধান্ত হলে শেওলা স্থলবন্দরের নোম্যান্সল্যান্ড থেকে লাশটি ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
নিহত যুবক মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার বাসিন্দা রসিক লাল রিকমনের ছেলে রনজিত রিকমন।
এসময় ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গাজী শহিদুল্লাহসহ রাজস্ব ও ইমিগেশন কর্মকর্তা এবং পুলিশের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে লাশটি নিতে শেওলা স্থলবন্দরে ছুটে আসেন নিহত যুবকের স্বজনরা।
নিহত রনজিত রিকমন গত মঙ্গলবার বাড়িতে কোনো কিছু না জানিয়ে গোপনে ভারতের আসাম সীমান্ত পাড়ি দেয়। সেখানে গরু চোরচক্রের সাথে তার সম্পৃক্তার অভিযোগে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। নিহত বাংলাদেশী যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামের পুতনি চাবাগানে গরু চুরির চেষ্টাকালে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। এ সময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
গণপিটুনিতে নিহত রনজিত রিকমনের বিষয়ে বিএসএফের দেয়া তথ্য জানার পরই বিজিবি লাশটি দেশে আনতে সম্মতি জানিয়েছিল।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও ভারতের সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রতিবেদনসহ বিএসএফ লাশ হস্তান্তর করতে বৃহস্পতিবার শেওলা স্থলবন্দরে নিয়ে আসে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিবির দায়িত্বশীলরা নিহতের যুবকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট চাইলে বিএসএফ তা দেখাতে পারেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা