২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেপালে আজ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন

নেপালে আজ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন - ছবি : সংগৃহীত

নেপালে আজ রোববার জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত ও চীনের মধ্যে স্যান্ডউইচ হওয়া দেশটির এক কোটি ৭৯ লাখ ভোটার ২৭৫ সদস্যের ফেডারেল পার্লামেন্ট এবং সেইসাথে প্রাদেশিক পরিষদ গঠনের জন্য ভোট দেবে। তবে ফেডারেল পার্লামেন্টের ১৭৫ সদস্যের ভোট আজ হবে না। তারা ভোট দেবে ১৬৫টি আসনে। বাকি ১১০ সদস্য নির্বাচিত হবেন আনুপাতিক ভোট পেয়ে।

এবারের নির্বাচনে দুটি প্রধান রাজনৈতিক জোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমিত থাকছে। এ দুটি হলো নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক ও বামপন্থীদের জোট এবং সিপিএন-ইউএমএল-নেতৃত্বাধীন বামপন্থী ও হিন্দুপন্থী-রাজতন্ত্রীপন্থী জোট।

নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটে রয়েছে সিপিএন-মাওবাদী সেন্টার, সিপিএন-ইউনিফায়েড সোস্যালিস্ট এবং মধেসভিত্তিক লোকতান্ত্রিক সমাজবাদী পার্টি। এর নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দিউবা (৭৬)। তার সাথে নির্বাচনী জোট গড়েছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা পুষ্প কমল দহল প্রচন্ড।

এই জোটের বিরুদ্ধে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। ৭০ বছর বয়স্ক কে পি শর্মা অলির জোটে আছেন রাজতন্ত্রী গ্রুপ। তাকে বেইজিংপন্থী বিবেচনা করা হয়। তিনি আগে দুবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

এখন পর্যন্ত বিশ্লেষণে মনে হচ্ছে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী দিউবা আবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন। তার নেপালি কংগ্রেস পার্টিকে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়ে থাকে।

তবে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠিত হলে মাওবাদী সেন্টারের প্রচন্ড কিংমেকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। তিনিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

প্রতিবেশী চীন ও ভারতের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে নেপালের প্রতি। তারা বেশ আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনের বিষয়টির ওপর নজর রাখছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নেপালের সমর্থন প্রয়োজন। ভারত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে।
নেপালের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রেরও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা ও হিন্দু


আরো সংবাদ



premium cement