০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কে হবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি : দ্রৌপদী না যশবন্ত?

দ্রৌপদী মুর্মু এবং যশবন্ত সিনহা - ছবি : সংগৃহীত

জমজমাট হয়ে ওঠেছে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ক্ষমতাসীন বিজেপির মনোনীতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সম্মিলিত বিরোধী দলের যশবন্ত সিনহা। বিজেপির সমর্থন পাওয়ায় দ্রৌপদী মুর্মুর সম্ভাবনা এমনিতেই বেশি। তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে আছেন যশবন্ত সিনহা।

এদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের ঘোষণা করায় অনেকটাই স্বস্তিদায়ক জায়গায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। রাজনৈতিক পরিস্থিতির গুরুতর কোনো পরিবর্তন না ঘটলে ১৮টি বিরোধী দলের জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে দ্রৌপদীর রাইসিনা হিল যাত্রা নিশ্চিত।

বিজেডির সমর্থন পাওয়ার পরে অঙ্কের বিচারে কেন্দ্রের শাসক শিবির রাষ্ট্রপতি পদে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জায়গায় পৌঁছে গেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সাংসদ ও বিধায়কেরা। যে অঙ্কে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়, তাতে মোট ভোটের মূল্য প্রায় ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৯০৩। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫২ ভোট।

বিজেপি ও তার শরিক দলগুলোর হাতে এখন রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ভোট। এর সাথে নবীনের দলের ৩১ হাজার ভোট যুক্ত হলে দ্রৌপদীর জিততে অসুবিধা হবে না। তা ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসও নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের প্রার্থীকে সমর্থনের ‘বার্তা’ দিয়েছেন বলে বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে। জগন্মোহন রেড্ডির দলের এমপি-বিধায়ক মিলে ভোট প্রায় সাড়ে ৪৫ হাজার। এ ছাড়া তেলঙ্গানার শাসকদল টিআরএসের প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তরফেও দ্রৌপদীকে সমর্থনের ঘোষণা আসবে বলে জল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, কোনো রাজ্যের জনসংখ্যাকে প্রথমে সেই রাজ্যের বিধায়ক সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়। তার পর ওই ভাগফলকে ১০০০ দিয়ে ভাগ করা হয়। এতে যে সংখ্যা এলো, তা যদি পূর্ণ সংখ্যা হয়, তা হলে সেটাই সেই রাজ্যের প্রত্যেক বিধায়কের ভোটমূল্য। যদি পূর্ণ সংখ্যা না হয়, তা হলে নিকটবর্তী পূর্ণ সংখ্যাটিই সেই রাজ্যের প্রত্যেক বিধায়কের ভোটমূল্য। এই প্রক্রিয়া অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক বিধায়কের ভোটমূল্য ১৫১।

এই হিসেব মেনে বিধায়কদের সম্মিলিত ভোটমূল্য পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৪। এমপিদের সম্মিলিত ভোটমূল্যও তাই ধরে নিয়ে ওই সংখ্যাকে লোকসভা এবং রাজ্যসভার মোট এমপি সংখ্যা (৭৭৬) দিয়ে ভাগ করা হয়। ভাগফলকে নিকটবর্তী পূর্ণ সংখ্যায় নিয়ে গেলে প্রত্যেক এমপির ভোটমূল্য দাঁড়ায় ৭০৮।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement