০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভারতে লাভ জিহাদ আইন, মসজিদ ধ্বংস নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ

ভারতে মসজিদ ধ্বংসে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। - ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপ্রদেশে জারি করা লাভ জিহাদ আইন এবং সেখানে মসজিদ ধ্বংসের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে আন্তঃধর্মীয় বিবাহকে অপরাধ বলে গণ্য করে একটি বৈষম্যমূলক আইন করা হয়েছে। এর ফলে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের সিনিয়র নীতি বিশ্লেষক নায়লা মোহাম্মদ বলেন, “সিএএ, এনআরসি’র পর কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বন্ধে নতুন আইন এনেছে ভারতের কয়েকটি রাজ্য।”

কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির প্রণীত এ আইন ‘মুসলিমবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ থেকেই উদ্ভূত বলে মনে করছেন সুধীজনরা। মানবাধিকার কর্মীরা আইনটির সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এই আইন প্রায়শই সহিংসতার ঘটনা ঘটায় এবং ধর্মান্তরের মিথ্যা বিবরণ ব্যবহার করে আন্তঃসত্য বিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রয়াস চলছে সেখানে।’

উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছে যে এক শ্রেণীর মুসলমান যুবক হিন্দু নারীদের কাছে প্রেমের অভিনয় করে এবং ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিয়ে করে।

তাদের কথায়, লাভ বা প্রেমের মাধ্যমে ‘জিহাদ’ করা হচ্ছে এভাবে। যদিও এর আগে একাধিক এরকম অভিযোগের তদন্ত করেও তথাকথিত লাভ জিহাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলেই সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

নায়লা মোহাম্মদ বলেন, ‘গত মাসে উত্তরপ্রদেশের দুটি মসজিদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা বেশ উদ্বেগজনক।’

তিনি আরো বলেন, নাগরিক সমাজের ধারণা, রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যর্থতার কারণে অনেক আগে থেকেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে রয়েছে সরকার।

এর মধ্যে কৃষক বিদ্রোহ শুরু হলে এটিকে দমনে ধর্মের ব্যবহার করতে না পেরে একের পর এক বিজেপিশাসিত রাজ্যে কথিত ‘লাভ জিহাদবিরোধী আইন’ পাস করা হয়েছে, যাতে মূল ব্যর্থতা আড়াল করা যায়।

এর আগে মার্কিন ধর্মীয় অধিকার সংক্রান্ত কমিটি নাগরিকত্ব সংশোধন বিলকে ‘ভ্রান্ত দিশায় এক বিপজ্জনক মোড়’ বলে উল্লেখ করে। তারা বলে, এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ বহুমুখী ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ভারতীয় সংবিধান, যাতে আইনের চোখে ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে সমান মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে, তার পরিপন্থী।

মার্কিন কংগ্রেস গঠিত এই কমিটি স্বাধীন, দ্বিস্তরীয় ফেডেরাল সরকারি সংস্থা। তারা দুনিয়াব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতার সামনে বিপদ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেয়। কমিটি তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, তারা ধর্মের ভিত্তিতে নির্যাতন রোধ ও ধর্মীয় বিশ্বাস, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা জোরদার করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট, বিদেশ সচিব ও কংগ্রেসকে বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত সুপারিশ দেয়।

২০০৮-এর জুলাইয়ে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যুরিস্ট ভিসা প্রত্যাখ্যান করার আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে মার্কিন বিদেশ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল এই কমিটি।

সূত্র : পূবের কলম


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলবিরোধী পোস্টের দায়ে নাগরিকদের আটক করছে সৌদি পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে সরকারি দলের লুটেরা-ভূমিদস্যুরা : রিজভী টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে ২য় বাকৃবি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দ্বারপ্রান্তে : যুক্তরাষ্ট্র হাটহাজারী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার ‘এতে মজা আছে নাকি, সবাই একদল আমরা’ অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত নানামুখী চাপে বাংলাদেশের গণমাধ্যম দুর্নীতির দায়ে ক্রিকেটে ৫ বছর নিষিদ্ধ থমাস বিধ্বস্ত গাজার পুনর্নির্মাণে সময় লাগতে পারে ৮০ বছর : জাতিসঙ্ঘ

সকল