২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হিন্দু বৃদ্ধের লাশ সৎকারের দায়িত্ব নিলেন মুসলিম যুবকরা

হিন্দু বৃদ্ধের লাশ সৎকারের দায়িত্ব নিলেন মুসলিম যুবকরা - সংগৃহীত

করোনা আতঙ্ক কাঁপছে চারদিক। এই মারণ ভাইরাসের কালো থাবা থেকে বাঁচতে ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। করোনা আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন সকলেই। কেউ একটু অসুস্থ হলেই কিংবা শারীরিক কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে, অথবা কারো মৃত্যু হলেও, বলে দেয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে কেউ, বিশেষত বৃদ্ধ কেউ মারা গেলেও এগিয়ে আসছেন না অন্যরা। এরকমই একটি ঘটনা ঘটল ভারতের পুনেতে। আর সেখান থেকে জন্ম নিলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক দৃশ্যের।

পুনের ডায়াস প্লটের গুলটেকডি মার্কেটের কাছে থাকতেন এক বৃদ্ধ। ৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয় সম্প্রতি। কিন্তু তার মৃত্যুর পর প্রতিবেশীরা ভেবে নেয়, মৃত্যুর কারণ করোনা। তাই কেউ এগিয়ে আসেনি শেষকৃত্যের জন্যে। বৃদ্ধের লাশ নিয়ে অথৈ পানিতে পড়েন তার পুত্র ও পুত্রবধূ।

এরপর ঘটনার কথা জানাজানি হয়। তখনই এগিয়ে আসেন এলাকার কয়েকজন মুসলিম যুবক। তারা পুলিশের অনুমতি নিয়েই ব্যবস্থা করেন একটি অ্যাম্বুল্যান্সের। সেই অ্যাম্বুল্যান্সেই লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। হিন্দু রীতিতেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য।

দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন করোনা সংক্রমণের জেরেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে তার। তাই শেষ দেখাটুকুও কেউ দেখতে আসেননি। পাড়া-প্রতিবেশী তো আসেনই-নি। এমনকী আত্মীয়-স্বজনরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন অসহায়, শোকাহত পরিবারটির কাছ থেকে। তাহলে, সত্‍কার কী করে হবে? চিন্তায় পড়ে যান বৃদ্ধের পরিবার। কারণ শ্মশান পর্যন্ত কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ারও যে কেউ নেই!

খবর জানাজানি হতেই, একদল মুসলিম যুবক সাথে সাথে চলে আসেন মৃত হিন্দু বৃদ্ধর বাড়িতে। জানতে পারেন, কাঁধ দেয়ার কিংবা সত্‍কার করার কেউ নেই। অসহায় পরিবারের চরম বিপদ দেখে ওই মুসলিম যুবকরাই তার পরিবারকে আশ্বাস দেন যে, সত্‍কারের সমস্ত ব্যবস্থা তারাই করেন। কাঁধে করে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে বৃদ্ধের সত্‍কারের ব্যবস্থাও তারাই করেন।
সূত্র : এই সময়

 


আরো সংবাদ



premium cement