২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুসলিমদেরকে দোষারোপের জন্য দিল্লির মসজিদকে ব্যবহার করা হচ্ছে : ক্রুদ্ধ ওমর আবদুল্লাহ

ওমর আবদুল্লাহ - সংগৃহীত

দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগি জামাতের আয়োজনে যে ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছিল তা থেকেই অনেক মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়িছে বলে যে অভিযোগ ভারতে ব্যাপকভাবে চলছৈ, তার বিরুদ্ধে সরব হলেন জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।

এই একটি ঘটনা দিয়ে "মুসলিমদের বদনাম করার সুযোগ" খুঁজছেন অনেকেই, বললেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওই নেতা । জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মতে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে যারা "তাবলিগি ভাইরাস" টুইট করছেন সেটা ভারতের পক্ষে করোনা ভাইরাসের থেকে "আরো বিপজ্জনক" হতে পারে। কেননা একটি প্রাকৃতিক ভাইরাস একটা সময়ের পর ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু এই ধরণের বিদ্বেষ বড় ছাপ ফেলে রেখে যায় সমাজে।
ওমর আবদুল্লাহ টুইট করেন, "এখন # তাবলিগি জামাত কারো কারো কাছে সব জায়গায় মুসলিমদের বদনাম করার জন্য একটি বড়সড় অজুহাত হয়ে উঠবে, যেন আমরাই #COVID তৈরি করেছি এবং বিশ্ব জুড়ে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছি"।

অবশ্য এর পাশাপাশি তাবলিগি জামাতের সমালোচনাও করেছেন তিনি। তিনি লেখেন, "প্রথম দর্শনে যদিও এটাই মনে হচ্ছে যে এই ঘটনা # তাবলিগি জামাতের দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপেরই ফল, তবে এটাও ঠিক যে, এই ধরণের সমাবেশ তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে ভারতের বেশিরভাগ মুসলমানই কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাগুলো মানছেন এবং অন্যদের সেই নির্দেশ মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন"।

দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদের ওই অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেয়া ৯১ জন মানুষের শরীরে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। তারা ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আযোজিত ওই সমাবেশে যোগ দিয়েই ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে সাতজনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের "মার্কাজ" কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২২ মার্চ "জনতা কারফিউ" ঘোষণা করার পরে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই মসজিদ চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। তারা ওই কারফিউয়ের কারণে আটকা পড়ে। তাদের আর অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। আর এরপরই শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে লকডাউন। তাই বাধ্য হয়েই মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকতে বাধ্য হন ওই মানুষজন।

ভারতে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৯৭ জন। ওই মারণ ভাইরাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন।
সূত্র : এনডিটিভি

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট

সকল