১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


সঙ্কট সমাধান সূত্র

সঙ্কট সমাধান সূত্র। -

সমাগত নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। নাগরিক সাধারণ সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় চিন্তিত-বিচলিত। কিন্তু যাদের মধ্যে বেশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকার কথা, তাদের মধ্যে সেরকম নেই; বরং নিজ নিজ গন্তব্য নির্ধারণ নিয়ে অনড় অবস্থান তাদের। সরকার বলছে, কোনো ক্রমেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারজাতীয় সমাধানে সম্মত হবে না। বিএনপির যেমন এক দফা, তাদেরও এক দফা। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনব্যবস্থা তারা মেনে নেবে না। অথচ এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কায়েমের জন্য আওয়ামী লীগ অনেক সময়, শ্রম ও অনর্থ ঘটিয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের পাশাপাশি তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। এখন এক দিনের হরতালকেও তারা মেনে নিতে নারাজ। সরকারের চাপানো এই সঙ্কটে বাংলাদেশের জনগণ যেন উলুখাগড়া হয়ে আছে।
সেই প্রবাদটি তো আমরা সবাই জানি- ‘বাঘে-মহিষে লড়াই করে, উলুখাগড়া পড়ে মরে’। দীর্ঘ আওয়ামী লীগ শাসনে দু’দলের মধ্যবর্তী যেসব বুদ্ধিজীবী তথা সিভিল সোসাইটির মানুষ ছিলেন তাদের সংখ্যা কমে আসছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ব্যারিস্টার রফিকুল হকের মতো ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মধ্যস্থতা করতে চেয়েছেন। ২০১৪ সালে শামসুল হুদার মতো মানুষরা দৌড়ঝাঁপ করেছেন সমঝোতার জন্য। এখন এরকম মানুষ দৃশ্যমান নয়। সবেধন নীলমণি সবার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব দু’-চারজন যারা আছেন, তারা কোনো দলের কাছেই পাত্তা পাচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ আমলের এটিও একটি সর্বনাশা প্রবণতা যে, কাউকেই তারা নিরপেক্ষ থাকতে দিতে চান না। সেই বুশের কথার মতো- হয় আমাদের অথবা তাদের। মাঝখানে কোনো অবস্থান নেই।

যে বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর ওপর নাগরিক সাধারণ নির্ভর করতে চান, তাদের গরিষ্ঠ অংশ সরকারের তাঁবেদারে পরিণত হয়েছেন। তারা রাজনৈতিক দলের মতো বলছেন- সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচনে ফিরে আসা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরামর্শ না দিয়ে আরো একবার বিনা-নির্বাচনে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ‘শিক্ষক সমিতি’ যারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষপাত করার কথা নয়, তারা দলীয় রাজনীতির ভাষায় বিবৃতি দিচ্ছেন। শিক্ষক সমাজের মধ্যে লাল-নীল-গোলাপি বিভাজন আছে। প্রত্যেকেরই অধিকার আছে যেকোনো রাজনৈতিক দলকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা সমষ্টিগতভাবে সমর্থন দেয়ার। কিন্তু যে সমিতি সব দল ও মতের প্রতিনিধিত্ব করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি অনুযায়ী, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সরাসরি বিবৃতি দিতে পারে না।

যাই হোক, বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিবৃত্তিক সঙ্কটকে চিহ্নিত করার জন্যই কথাটি বললাম। লোকেরা বলে এরকম করে- যাদের দিয়ে ভূত তাড়াব, তাদের পেয়েছে ভূতে। রাজনীতিকরা রাজনীতির কারণে বিভাজিত হবেন, বিতর্কিত হবেন- এটিই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে কনফিডেন্স বিল্ডিং বা আস্থা নির্মাণের প্রথম উপায় হচ্ছে পারসুয়েশন বা বুঝিয়ে সুঝিয়ে একমত করা। বাংলাদেশে যদি একটি নিরপেক্ষ, শক্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী থাকত তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজ হতো। সেই বুদ্ধিজীবী শ্রেণী নেই- এটিই বাস্তবতা। সুতরাং সঙ্কট সমাধানে সমঝোতা বা সূত্র অন্বেষণ রাজনীতিকদেরই করতে হবে। যদিও সেখানেও আমাদের অতীত উদাহরণ খুবই হতাশার। বিগত অর্ধশতাব্দীতে এরকম কোনো উদাহরণ নেই যে, নিজেরা অথবা বিদেশীরা মধ্যস্থতা করে আমাদের সঙ্কট সমাধানে সফল হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্মতির পরিবর্তে শক্তি প্রয়োগ একটি নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি দল চূড়ান্তভাবে শক্তির মাধ্যমে পর্যুদস্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সমঝোতায় আসতে রাজি হয় না।
রাষ্ট্রব্যবস্থার অপরিহার্য তিনটি অঙ্গ- আমলাতন্ত্র, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। এ মুহূর্তে এতটাই দলীয় আবরণে আবদ্ধ যে, তারা একটি স্বাধীন জাতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। আমলাতন্ত্র বা স্থায়ী নির্বাহী বিভাগকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, তার আর স্বকীয়তা বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাদের তুষ্ট করার জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে অনৈতিকভাবে। পদ যদি থাকে ১০টি, প্রমোশন পায় ১০০টি। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সংবাদপাঠকরা প্রায়ই রদবদলের কথা পড়ছেন। তার মানে হচ্ছে এই, নির্বাচনব্যবস্থা আগের মতোই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সব ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। আইনসভা একটি দলের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের সমাজে ও রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। যে বিচারব্যবস্থা জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল, তারা দলীয় আদেশ-নিষেধের ঊর্ধ্বে উঠতে পারছেন না। এ দেশের একজন প্রধান বিচারপতিকে অতীতে যেভাবে অপমান-অপদস্ত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে, তা গোপন কিছু নয়। এ অবস্থায় বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য কোনো একটি প্রতিষ্ঠান যে উদ্যোগ নিতে পারবে বা উদ্যোগ নেয়ার সক্ষমতা আছে- এমন নয়। তারপরও সংলাপ বা আলোচনা ব্যতীত কোনো উপায় নেই বলেই গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

দুই দলের অবস্থান এমন যে, ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দেবো সূচ্যগ্র মেদিনী’। অথচ এটি যুদ্ধ নয়, রাজনীতি। রাজনীতিকে বলা হয় সমঝোতার শিল্পকলা। দু’পক্ষই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সর্বমহলে এতটাই ধিকৃত হয়েছে যে, ২০২৪ সালে ন্যাড়া আর বেলতলায় যেতে চাচ্ছে না। অথচ প্রধান ব্যক্তিত্ব থেকে সবাই নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। বিশ্বাস করছে না কেউই। শক্তির মাধ্যমে সমাধানে এলেও কথা তো বলতে হবে, উপায় নির্ধারণ করতে হবে এবং সমঝোতায় পৌঁছতেই হবে। কে কাকে সংলাপের আহ্বান জানাবে, কে তাদের স্ট্যান্ড থেকে একটু সরে আসবে অথবা প্রথম কারা সংলাপের আহ্বান জানাবে- সেটিও একটি ইজ্জতের বিষয়। আগেই বলেছি, সিভিল সোসাইটি ছিল একটি যথার্থ মাধ্যম। তারা অকার্যকর।

এরপর নির্বাচন কমিশন একটি উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান হতে পারে। এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে তারা সংলাপের আয়োজন করেছে। নির্বাচন কমিশনই এ মুহূর্তে বাংলাদেশে একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা যারা সংলাপের আহ্বান জানাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই প্রতিষ্ঠানটি এখন আর সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চরমোনাই পীরের ওপর হামলাকে যেভাবে দেখেছেন, তা অনাস্থার জন্য যথেষ্ট। অপর একজন বিচারক হিরো আলমের ওপর হামলাকে ‘অল্প অন্যায়’ বলে চিত্রিত করে প্রকারান্তরে হামলাকারীদের মদদদাতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। অন্য সদস্যরা কেউই সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্য কথা বলার উপযুক্ত নন। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের আশাও মিছে।

তাবৎ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মতামত দিচ্ছেন, সরকারকেই আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। এটিও সত্যি কথা, বাংলাদেশের কালচার অনুযায়ী সরকার উদ্যোগ নিলে পরাজয়ের তিলকে চিহ্নিত হতে পারে। অপর দিকে, বিরোধী দল যদি নমনীয়তা প্রদর্শন করে, তাহলে তাদের নাম দালালের খাতায় উঠবে। কেউই কাউকে সম্বোধন করতে রাজি নয়। এ ক্ষেত্রে বিচারালয় যা ক্রমে বিঘ্নিত হতে পারে-টানেলের অবশেষে ক্ষীণ আলোর রেখা। বিএনপি সরকার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য একটি নির্বাচন করতে বাধ্য হয়, তখন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এটিকে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন। তখন কী করা যেত? সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছা যেত। অবশ্য তা একরকম অসম্ভব ছিল। আইনবিদরা বলছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়টি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হওয়া উচিত ছিল। বিষয়টি কোনো রেফারেন্সের জন্য প্রেরিত হতে পারত।

এ ক্ষেত্রে আইনজীবীরা আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করতে পারেন। মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, জনস্বার্থে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চাচ্ছেন আইনজীবীরা। আজকের এ অচলাবস্থা দূরীকরণের জন্য বিচারালয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সূত্র হতে পারে। আরো একটি বিষয় সরকার ও বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হতে পারে- আর তা হচ্ছে, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অর্জিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল। এখন এ মুহূর্তে ভবিষ্যৎ নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে বিপুল বিতর্ক চলছে। মরহুম ডা: জাফরুল্লাহ চেয়েছিলেন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জাতীয় সরকার। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এর মিত্ররা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরত চায়। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল তা জাতীয়ভাবে গৃহীত হয়েছিল। এ ব্যবস্থায় তিনটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একটি দ্বিদলীয় সরকারব্যবস্থার প্রবণতা পরিদৃষ্ট হয়। জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করতে যাচ্ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে যখন অনুধাবন করল- কোনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের কখনোই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই, তখন তারা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি বাতিল করে দেয়।

এটি সবারই জানা কথা, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অধীনে গঠিত সংবিধান সংশোধনী কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়। অ্যামিকাস কিউরি নামে কথিত শীর্ষ আইনজীবীদের এক-দু’জন বাদে সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। সুপ্রিম কোর্ট আরো তিনটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের সুপারিশ করেন। কিন্তু সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে একক সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল গত ৫০ বছরে অর্জিত একটি উত্তম ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে জাতি যে সঙ্কটে নিপতিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অবলুপ্তি এর প্রধান কারণ। এখন এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আওয়ামী লীগ একমত হলে সঙ্কটের অবসান ঘটবে। সেটি যদি আওয়ামী লীগের ইগো বা পরাজয়ের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সে জন্যই কোর্টের মাধ্যমে এটি বহাল হতে পারে।

বিএনপির সময়ে যথেষ্ট আইনগত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে আইনটি প্রণীত হয়। বিচারপতিদের নিয়ে যে বিতর্ক উত্থাপিত হয়, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিচারপতিদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ সঙ্কটকে আরো বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি পাওয়া একটি অসম্ভব বিষয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি এখন কী অবস্থার মোকাবেলা করছেন তা সবারই জানা কথা। সুতরাং ত্রয়োদশ সংশোধনীতে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, তা-ই যৌক্তিক। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এতটাই জটিল ও কুটিল যে, একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া কঠিন।
সুতরাং বর্তমান সঙ্কট সমাধানের সূত্র হিসেবে যদি কোর্ট অব রেফারেন্সকে গ্রহণ করা যায়, তাহলে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের জয়-পরাজয়ের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে না। প্রকারান্তরে এই কোর্ট অব রেফারেন্সের মাধ্যমে সংবিধানের সংযোজিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন ঘটলে কারো জন্য কোনো সম্মানহানির কারণ ঘটবে না। সংবিধান সমুন্নত রেখেই বিষয়টি সমাধানের সূত্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে আইনজীবী মহল ও বিচারালয়ে এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আইনগতভাবে এখনো বহাল রয়েছে। যেভাবে যে প্রক্রিয়ায় এটি বাতিল করা হয় তা বেআইনি ও অসাংবিধানিক। রাজনীতিকরা নিরাসক্তভাবে এই কঠিন সত্যকে গ্রহণ করতে পারলে সঙ্কট সমাধানের পথ সহজ হয়ে যায়।

লেখক : অধ্যাপক, (অব:) সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
নিক্সন চৌধুরীরর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্লে-অফের ১টি জায়গার জন্য লড়াইয়ে ৩ দল, ধোনি, কোহলি, রাহুলদের কে পাবেন টিকিট? ফরিদগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের আত্মহত্যা মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কেন? মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত রাফা অভিযান : ইসরাইলকে সতর্কবার্তা ১৩ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘অজানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের’ পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্র আবা‌রো ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই নির্বাচনের পরেও সে কথাই বলেছে যুক্তরাষ্ট্র : ড. মঈন খান ভালুকায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সর্বোচ্চ আয় করা খেলোয়াড় রোনালদো, মেসির অবস্থান কোথায়?

সকল