১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

বিদ্রোহীর সাথে দিন যাপন

বিদ্রোহীর সাথে দিন যাপন - ছবি : সংগৃহীত

যারা বড় কবি, লেখক বা শিল্পী তাদের জন্ম বা মৃত্যুদিন পালনে সেসব ব্যক্তির মাজারে বা সমাধিতে গিয়ে ফুল দেয়া বা ফাতেহা পাঠের সুযোগ আমার কমই হয়। দিনটি আমি যাপন করি নিজের মতো করে। কবির কাব্য বা অন্যবিধ রচনা পাঠ করি। তিনি শিল্পী বা সঙ্গীত রচয়িতা হলে তার গান শুনি। ২৯ আগস্ট ছিল জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু ওই দিন আমি কবির কবিতা পড়িনি। তার কোনো বইই হাতে নিইনি। বরং শুনেছি গান, ‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো তবু আমারে দেবো না ভুলিতে।’ আর শুনেছি বিদ্রোহীর আবৃত্তি। একা ঘরে শুনতে শুনতে হারিয়ে গেছি সেই পরাধীন ভারতবর্ষে যেখানে পুরো ভারতবাসীর দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে বসে আছে এককালের তুচ্ছ বেনিয়া ইংরেজ। আর ভারতের শ্রেষ্ঠ কবি নতশিরে তার চরণ চুম্বন করে শতমুখে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন, উচ্চারণ করছেন :

‘তব করুণারুণরাগে নিদ্রিত ভারত জাগে
তব চরণে নত মাথা।
জয় জয় জয় হে, জয় রাজেশ্বর ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে’।
রবীন্দ্রনাথের তো একার দায় নয় এটা। তার পূর্বতন কবিরাও যে ছিলেন একই পথের পথিক। তাদের ব্রিটিশবন্দনার ইতিহাস ওইরকম লজ্জাকর ধারাবাহিকতায় প্রবাহিত। কবি ঈশ্বরগুপ্ত লিখেছেন,
‘চিরকাল হয় যেন ব্রিটিশের জয়
ব্রিটিশের রাজলক্ষ্মী স্থির যেন রয়
ভারতের প্রিয়পুত্র হিন্দু সমুদয়
মুক্তমুখে বল সবে ব্রিটিশের জয়।’

এ যে পরাধীন জাতির পক্ষে কতবড় আত্মগ্লানির, কতটা অমর্যাদার, কতটা হীনম্মন্যতার সে আলোচনা কখনো হয়নি। তবে ইংরেজপ্রভু তার চরণাশ্রিত কবিকে সম্মান জানিয়েছে নোবেল পুরস্কার দিয়ে। একজন কবিতাপ্রয়াসী হিসাবে লজ্জায় অধোবদন হতে হতে চোখ বুজে ফেলি। আমার অস্তিত্ব ওজনহীন হয়ে যায়, শূন্যে ভাসতে থাকি। কখন কী করে যেন চলে যাই অনেক দূরের পথ পেরিয়ে এক ’শ বছর আগের কলকাতায়, সেই ১৯২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের সেই হিমশীতল কলকাতার তালতলা লেনের দোতলা বাড়িটিতে। সেখানে নিচের তলার এক ঘরে নিঃশব্দে ঢুকে পড়ি। সামান্য বিদ্যুতের টিমটিমে আলোয় ২২ বছরের এক তরুণ এই শেষ রাতেও জেগে আছে। তার সামনে ছোট্ট টেবিলে খোলা খাতা। হাতে কাঠপেন্সিল। বাইরে ঘন কুয়াশা স্তব্ধ করে দিয়েছে দিনের সব ব্যস্ততা ও কোলাহল। নগরবাসী লেপকাঁথা মুড়ি দিয়ে গভীর সুপ্তিতে মগ্ন। দু-একটা পথের কুকুর হঠাৎ খেঁকিয়ে উঠছে শেষ যাত্রীকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ক্লান্ত অবসন্ন দেহে ঘরে ফিরতে থাকা কোনো উড়িয়া রিকশচালকের টানা রিকশার টুংটাং শব্দের সাড়া পেয়ে। দূরে কোথাও ট্রামের গড়গড় শব্দ থেমেছে বেশ আগে। বালক কবি অবিরাম লিখে চলেছে সেই কবিতা যেটি আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে হয়ে উঠবে গোটা উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদী চেতনার এক অগ্ন্যুৎপাত, এক মহাবিস্ফোরণ। সেটি ‘বিদ্রোহী’। যে ধরনের কবিতা এ যাবৎকালে বাংলা ভাষায় শুধু নয়, গোটা উপমহাদেশের কোনো ভাষায় কখনো লেখা হয়নি। ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি বিখ্যাত ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রথম ছাপা হলে যে কবিতা হয়ে উঠবে, পরাধীন ভারতবাসীর পরম নির্ভরতার প্রতীক, তাদের আশা-আকাক্সক্ষার, ভরসার আশ্রয়স্থল; তাদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, বিদ্রোহ ও স্বাধীনতাস্পৃহার সার্বভৌম ভূমিখণ্ড।

ঠিক যেমনটা বলেছেন এ সময়ের বাঙালি অন্যতম কবি সুবোধ সরকার। তিনি ‘একটি উপমহাদেশ, একটি কবিতা’ শিরোনামে এক নিবন্ধে লিখছেন :
“ভিখিরি থেকে রাজা, যে যেখানে থাকো, প্রত্যেক মানুষের দুটো করে বাড়ি আছে। একটা বাড়ি যেখানে সে আছে, সেটা গাছতলাও হতে পারে, গাছতলাও তো বাড়ি, আর একটা বাড়ি তার পিঠে, সেই বাড়িটা দেখা যায় না। আমাদের প্রত্যেকের পিঠে সেই দ্বিতীয় বাড়ি।... ছোটবেলায় আমি যখন কৃষ্ণনগরের পাড়া থেকে পাড়ায় যেতাম, রায় পাড়া থেকে হাতার পাড়া যেতাম, স্কুল থেকে স্কুলে যেতাম, তখন আমার পিঠে একটা বাড়ি থাকত। দেখা যেত না সেই বাড়িটাকে। সেই বাড়িটাই একটা কবিতা। একটা উপমহাদেশ। কবিতাটার নাম ‘বিদ্রোহী’। ... ভারতীয় উপমহাদেশে আর কোনো কবিতা আজ পর্যন্ত লেখা হয়নি যা ‘বিদ্রোহী’কে অতিক্রম করে যেতে পারে।” (সুবোধ সরকার, দেশ, ১৭ জুলাই ২০২২)
লজ্জায় মরমে মরে যেতে যেতে আমি তালতলা লেন থেকে হেঁটে যাই বিবিডিবাগে। ওখানে কলকাতা হাইকোর্ট। টাইম মেশিনের ক্রনোমিটারে দেখি তারিখ উঠে আছে, রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ১৯২৩। এটি সেই দিন যেদিন দুপুরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দিশালায় বসে নজরুল লিখেছিলেন তার সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের এবং একই সঙ্গে দেশপ্রেমের অনিবার্য দলিল, ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’।

কোনোভাবে ভেবে ক‚লকিনারা করতে পারি না, সেই ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, সেই ডিরোজিওর সময় থেকে যে কলকাতার বাঙালি বাবুরা মুক্তমুখে ব্রিটিশদের জয়গানের চর্চা অব্যাহত রেখেছেন, সেই শহরে বসে একজন বন্দী কবি কী করে এমন দুঃসাহসে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেন! ভেবে হতবুদ্ধি হয়ে যাই। খুব করে মনে করার চেষ্টা করি, সেই কবে ছেলেবেলায় পড়া সেই জবানবন্দীর খণ্ডাংশ : ‘কোনো কালে কোনো কারণেই সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হয়নি- তার বাণী মরেনি। সে আজও তেমনই করে নিজেকে প্রকাশ করেছে এবং চিরকাল ধরে করবে। আমার এই শাসন-নিরুদ্ধ বাণী আবার অন্যের কণ্ঠে ফুটে উঠবে। আমার হাতের বাঁশি কেড়ে নিলেই সে বাঁশির সুরের মৃত্যু হবে না; কেননা আমি আর এক বাঁশি নিয়ে বা তৈরি করে তাতে সেই সুর ফোটাতে পারি। সুর আমার বাঁশির নয়, সুর আমার মনে এবং আমার বাঁশি সৃষ্টির কৌশলে’।

স্মৃতির অস্পষ্ট কুয়াশার মেঘ কাটিয়ে ধীরে ধীরে সূর্য জেগে উঠতে থাকে। স্পষ্ট হয় আরো কয়েক চরণ। কবি লিখেছেন,
‘আজ ভারত পরাধীন। তার অধিবাসীবৃন্দ দাস। এটা নির্জলা সত্য। কিন্তু দাসকে দাস বললে, অন্যায়কে অন্যায় বললে এ রাজত্বে তা হবে রাজদ্রোহ। এ তো ন্যায়ের শাসন হতে পারে না, এই যে জোর করে সত্যকে মিথ্যা, অন্যায়কে ন্যায়, দিনকে রাত বলানো- এ কি সত্য সহ্য করতে পারে? এ শাসন কি চিরস্থায়ী হতে পারে? এতদিন হয়েছিল, হয়তো সত্য উদাসীন ছিল বলে। কিন্তু আজ সত্য জেগেছে, তা চক্ষুষ্মান জাগ্রত-আত্মামাত্রই বিশেষরূপে জানতে পেরেছে। এই অন্যায় শাসন-ক্লিষ্ট বন্দী সত্যের পীড়িত ক্রন্দন আমার কণ্ঠে ফুটে উঠেছিল বলেই কি আমি রাজদ্রোহী? এ ক্রন্দন কি একা আমার? না- এ আমার কণ্ঠে ওই উৎপীড়িত নিখিল-নীরব ক্রন্দসীর সম্মিলিত সরব প্রকাশ? আমি জানি, আমার কণ্ঠের ওই প্রলয়-হুঙ্কার একা আমার নয়, সে যে নিখিল আর্তপীড়িত আত্মার যন্ত্রণা-চিৎকার। আমায় ভয় দেখিয়ে মেরে এ ক্রন্দন থামানো যাবে না! হঠাৎ কখন আমার কণ্ঠের এই হারা-বাণীই তাদের আরেকজনের কণ্ঠে গর্জন করে উঠবে।’

বন্ধ চোখের সামনে অন্ধকারে চলমান ছবির দৃশ্য ভাসতে থাকে। ১৯৪২ সাল। বিদ্রোহী রচনার মাত্র ২০ বছরের মাথায় সারা ভারত উত্তাল হয়ে উঠবে এক গগনবিদারী ¯ স্লোগানের ধ্বনিতে, ‘কুইট ইন্ডিয়া, ভারত ছাড়ো।’ সেই ¯ স্লোগানও প্রথম উচ্চারণ করেন একজন মুসলিম নেতা। যেমনটা ১৮৫৭ সালে করেছিলেন ভারতের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ও তার অনুগত সিপাহিরা। এই ¯ স্লোগানের এবং এই সংগ্রামের প্রস্তুতির ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল বিদ্রোহীর রণহুঙ্কারে। ওখানে ভারতবাসী পেয়ে গেছে তাদের রণসঙ্গীত। নজরুল বাজিয়ে দিয়েছেন পিণাকপাণির ডমরু, অর্ফিয়ুসের বাঁশরি, ইস্রাফিলের প্রলয়ঙ্করী শিঙ্গা। ব্রিটিশদের বিদায় অবশ্যম্ভাবী করে তোলা অন্তিম বিউগল, মৃত্যুভয়াল ‘অগ্নিবীণা’। তারা মাথা উঁচু করে বুক ফুলিয়ে বলতে শিখে গেছে :

‘আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ!
আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,
আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার,
আমি পিণাক-পাণির ডমরু ত্রিশূল, ধর্মরাজের দণ্ড,
আমি চক্র ও মহা শঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচণ্ড!’

১৯২৩ সালে যখন কবি নজরুল রাজবন্দীর জবানবন্দী লিখছেন তখন তার বয়স কত? মাত্র ২৪ বছর। এই ২৪ বছরের এক তরুণ লিখছেন :
“ঘরের-বাইরের বিদ্রুপ, অপমান, লাঞ্ছনা, আঘাত আমার উপর পর্যাপ্ত পরিমাণে বর্ষিত হয়েছে, কিন্তু কোনো কিছুর ভয়েই নিজের সত্যকে, আপন ভগবানকে হীন করি নাই, লাভ-লোভের বশবর্তী হয়ে আত্ম-উপলব্ধিকে বিক্রয় করি নাই, নিজের সাধনালব্ধ বিপুল আত্মপ্রসাদকে খাটো করি নাই, কেননা আমি যে ভগবানের প্রিয়, সত্যের হাতের বীণা; আমি যে কবি, আমার আত্মা যে সত্যদ্রষ্টা ঋষির আত্মা। আমি অজানা অসীম পূর্ণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি।
আমি ‘অমৃতস্য পুত্রঃ’।”

কবিদের সত্যদ্রষ্টা বলা হয়। বাংলা ভাষায় একমাত্র নোবেলজয়ী কবিকেও একই ধরনের অভিধা দেয়া হয়। কিন্তু একজন যাকে ভাগ্যবিধাতা বলে চরণে মাথা ঠেকিয়ে পূজার অর্ঘ্য নিবেদন করছেন আরেক কিশোর কবি সেই তাকেই ব্যঙ্গ করে ‘ভগবান’ বলছেন। গলার সর্বোচ্চ শক্তিতে ঘোষণা করছেন :
‘আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা
খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!’

দুই কবির আত্মমর্যাদা বোধের এই যোজন যোজন ব্যবধানের সামনে দাঁড়িয়ে আমার মস্তিষ্কের নিউরন নিভে আসতে শুরু করে। সত্যদ্রষ্টা তো তিনিই যিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা নির্বিশেষে সমগ্র দেশবাসীর আশা-আকাক্সক্ষার স্বরূপ মনের চোখে দেখতে এবং উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। সেই সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নজরুল। কিন্তু তাকে সেই প্রাপ্য সম্মান দেয়া হয়নি। এই যে না দেয়া, তার অনেক কারণ। সচেতন পাঠকের তা অজানা থাকার কথা নয়।
এবার নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকীতে একা বসে তার কবিতার আবৃত্তি শুনেছি। আমি গবেষক নই, ইতিহাস তেমন জানি না। কিন্তু আমার এমনটাই মনে হয়, বিদ্রোহী লেখা না হলে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম আরো বিলম্বিত হতো। কবি সুবোধ সরকার যে কথাটি সংক্ষেপে গুছিয়ে বলেছেন, ‘ইংরেজ তাড়ানোর জন্য গান্ধীর যা ভূমিকা আছে, ১৩৯টি লাইনের ভূমিকা তার চেয়ে কম নয়’। (প্রাগুক্ত)

১৩৯ চরণের বিদ্রোহীর সেই শব্দগুলো এখনো বাজছে :
‘মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না-
অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।’

এ উচ্চারণ কি কখনো মুছে যেতে পারে? এমন বিশ্ব কি কল্পনা করা সম্ভব যেখানে একজনও নিপীড়িত মানুষ থাকবে না; শোষণ, বঞ্চনা, নির্যাতন থাকবে না। থাকবে না প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, বিদ্রোহ, সংগ্রাম! যদি তেমনটা ঘটে তাহলে কথা নেই। কিন্তু যদি পৃথিবীতে এসব থেকে যায়, তাহলে যতদিন মানুষের মধ্যে বিদ্রোহের আগুন থাকবে ততদিন ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রাসঙ্গিকতা থাকবে, পৃথিবীর মানুষ বিদ্রোহী কবিতা পড়বে। বেঁচে থাকবেন বিদ্রোহীর স্রষ্টা।

নজরুলের বাবরি চুলের টুপি পরা একটি সৌমদর্শন ছবি হাতে করে আমি কখন অজান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে কবির মাজারে গিয়ে উপস্থিত হই। কবিকে সালাম জানিয়ে দাঁড়াতে হঠাৎ মাথায় ঝিলিক দিয়ে ওঠে অদ্ভুত এক চিন্তার স্ফুলিঙ্গ। চকিতে মনে হয়, সাচ্চা মুসলমানের রক্ত শরীরে ছিল বলেই কি কবি নজরুলের পক্ষে বিদ্রোহীর মতো কবিতা লেখা সম্ভব হয়েছিল? আপনারা হাসতে পারেন, আমি হাসছি না।

[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement

সকল