১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫
`


হিসাব মেলাতে পারছেন না শান্ত

-

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানে হারের ব্যাখ্যা করতে গেলে সর্বপ্রথম সামনে আসবে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং পারফরম্যান্স। দুই ইনিংসেই নতুন বলে প্রচণ্ড বাজে পারফরম্যান্স বাংলাদেশের ব্যাটারদের। দুই ওপেনার জয় ও জাকির চরমভাবে ব্যর্থ। অধিনায়ক শান্ত ছিলেন নি®প্রভ। শাহাদাত সুযোগ আরো একবার কাজে লাগাতে ব্যর্থ। মুমিনুল প্রথম ইনিংয়ে ভালো না করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩ রান করে কিছুটা আশা দেখিয়ে ছিলেন। চরম হতাশা ছড়িয়েছেন লিটন।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য শুধু লিটন নয়, নির্দিষ্ট কোনো ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নিয়েই ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার পক্ষে নন তিনি। শান্ত বলেন, ‘নির্দিষ্ট শট নিয়ে কথা বলার জন্য ব্যাটিং কোচ আছেন। এটা আমার কাজ না।’ বোলিং কিছুটা আশার সঞ্চার করলেও ফিল্ডিং ছিল বাজে। ক্যাচ মিস, বাউন্ডারি ঠেকানো কোনো কিছুতেই যেন শতভাগ পাচ্ছিল না দল। কী করলে কী হবে, তা যেন মিলাতে পারছিলেন না শান্ত।
৩৭ রানে ৪ উইকেট নেই, রানপাহাড়ে চাপা পড়ার দ্বারপ্রান্তে টাইগার শিবির। দলের অন্যতম সেরার ব্যাটার হিসেবে তখন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা ছিল লিটন দাসের কাছে। কিন্তু লিটন যা করলেন, তা ব্যাখ্যাতীত! নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বলটিকেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে শূন্যে তুলে দিলেন। শান্ত বললেন, ‘লিটন যেভাবে আউট হয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটে সচরাচর ব্যাটারদের এভাবে আউট হতে দেখা যায় না।’
প্রধান সমস্যা ব্যাটারদের হতশ্রী পারফর্মে। বিশেষ করে নতুন বলে টপ-অর্ডারদের বাজে অবস্থা। শান্ত বলেন, ‘আমাদের নতুন বলের ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে। পরের টেস্টের (চট্টগ্রাম টেস্ট) আগে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। সেখানে ভালোভাবে ফিরে আসার জন্য আমরা পরিকল্পনা করছি।’ ব্যাটারদের ব্যর্থতার এই ম্যাচে বোলারদের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, ‘বোলিংয়ে আমরা যেভাবে শুরু করেছি, সত্যিই আমরা পেস বোলারদের জন্য গর্বিত। উইকেট ভালো ছিল।’ দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা লংকান ব্যাটার ধনঞ্জয়া ও কামিন্দুর প্রশংসা করলেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement