প্রবাসী বক্সারের খোঁজে ফেডারেশন
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ২৮ মে ২০২৩, ০০:০৫
১৯৯৩ সালের সাফ গেমসে অনেক আশা করেই ইংল্যান্ড থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ব্রায়ান আহমেদকে। তবে চমর হতাশ করেছেন এই প্রবাসী বক্সার। ২০০৪ ইসলামাবাদ এসএ গেমসের জন্য দুই ইংল্যান্ড প্রবাসীকে আনা হলেও তাদের আর চূড়ান্ত দলে জায়গা দেয়া যায়নি। মান আহামরি কিছু না হওয়ায় বাদ দেয়া হয় তাদের। যদিও বলা হয়েছিল দুই বক্সারের পাসপোর্ট করতে সমস্যা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরেক বক্সার আল সাফওয়ান উদ্দিনকে আনা হয়। তিনি এসে জাতীয় বক্সিংয়ে স্বর্ণও জয় করেন। এরপর তার ইংল্যান্ড ফিরে যাওয়া এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস খানের সাবেক হয়ে যাওয়া। ফলে সাফওয়ান উদ্দিনের আর বাংলাদেশে এসে খেলা হয়নি। সাবেক সেক্রেটারির ক্লাব থেকে খেলেই তার স্বর্ণ জয়। যদিও এখনকার ফেডারেশন কর্মকর্তারা প্রশ্ন তুলেছেন সাফওয়ান উদ্দিনের পদক জেতা নিয়ে। ২০১০ এসএ গেমসের পর বক্সিংয়ে আর স্বর্ণ নেই বাংলাদেশের। দেশে যারা আছেন তারা পরবর্তীতে আর সাফল্য পাননি। তাই এখন প্রবাসী বক্সার খুঁজছে ফেডারেশন। জানান সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম তুহিন।
বক্সিং ফেডারেশন এরই মধ্যে তিন প্রবাসী বক্সারের খোঁজ পেয়েছে। একজন ছেলে বক্সার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তার বাবা-মা দু’জনই বাংলাদেশী। এই উঠতি বক্সার যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে চ্যাম্পিয়ন। মাজহারুল ইসলাম তুহিন জানান, ‘আমাকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই বক্সারের তথ্য দিয়েছেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এখন আমরা এই বক্সারের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’ তুহিন আরো জানান, ‘ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বসবাস করা দুই মহিলা বক্সারের তথ্যও আছে আমাদের কাছে। এই দুই বোন। বাংলাদেশের এক সাবেক বক্সারের মেয়ে। তাদেরকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছি।’ বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের উপলব্ধি, বক্সিংয়ে সাফল্য পেতে হলে আমাদের প্রবাসী বক্সার খুঁজতেই হবে। দেখুন আফ্রিকান দেশ মরক্কোর দিকে। তারা প্রবাসী বক্সারদের নিয়ে পদক জিতছে।
সর্ব শেষ যুব বাংলাদেশ গেমস শেষে বাছাইকৃত বক্সারদের নিয়ে ক্যাম্প করছে ফেডারেশন। ছেলে ও মেয়ে দুই বিভাগেই চলছে এই প্রশিক্ষণ। এখন থেকে জুনিয়র বক্সিংয়ে অংশ নিতে আগস্টে উজবেকিস্তান যাবে দু’জন বক্সার। এরপর স্কুল বক্সিংয়ে লড়তে সৌদি আরব যাবে আরো দুই বক্সার। তুহিন জানান, আমরা আগামী এসএ গেমসে টার্গেট করেই এগোচ্ছি। সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমসও আছে।
বক্সিংয়ে একজন বিদেশী কোচ অতি প্রয়োজন। তুহিনের দেয়া তথ্য, ইউক্রেনের এক কোচের আসার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের পর তার আর আসা হলো না। এখন আমরা বিওএকে চিঠি দিয়ে রেখেছি বিদেশী কোচ চেয়ে। বিওএর সহায়তা ছাড়া আমাদের পক্ষে কোচ এনে রাখা সম্ভব নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা