০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এক পর্তুগিজে বদলে যাওয়া আবাহনী

-

দোষটা বেশি চাপছিল ঢাকা আবাহনীর ওপরই। পাঁচবার এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলেও চূড়ান্ত পর্বে যেতে না পারায়। যেখানে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র প্রথম আসরেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল রাউন্ডে ওঠে। এ বছর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এএফসি কাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আবাহনীর। কিন্তু আগের দুই টুর্নামেন্টে তাদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স এবারো আশা দেখাচ্ছিল না। কিন্তু এক পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসের ছোঁয়ায় পাল্টে গেল আকাশি নীল শিবির। তারা এই প্রথমবারের মতো কোয়ালিপাই করল এএফসি কাপের নক আউট পর্বে বা ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে। এখানেই শেষ নয় দলটি এখন স্বপ্ন দেখছে ইন্টার জোন প্লে-অফ ফাইনালে খেলার। সে পথে প্রাথমিক কাজ তারা করে রেখেছে ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমির হোম ম্যাচে ৪-৩-এ উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল ১৫ এর বিপক্ষে জিতে।
এখানেই বিশেষত্ব মারিও লেমসের। বাংলাদেশ দলের সাবেক এই সহকারী কোচ কাম ট্রেইনার আবাহনীকে নিয়ে গড়লেন ইতিহাস। এখন আরেক দফা ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়। তা ২৮ আগস্ট পিয়ংইয়ংয়ে ন্যূনতম ড্র করলেই। এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপে দফায় দফায় ব্যর্থ কোচ অমলেশ সেন। পারেননি ইরানি কোচ আলী আকবর পুরমুসলেমিও। এমনকি ক্রোয়েশিয়ান কোচ ড্রাগো মামিচের পক্ষেও সম্ভব হয়নি এএফসি কাপে আবাহনীকে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার করাতে। গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সাইফুল বারী টিটুও হেঁটেছেন পুরনোদের পথে। সেখানে ইতিহাসের পাতায় চলে গেলেন মারিও লেমস। যার নেই কোনো জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার কৃতিত্ব। ওই দল ছেড়ে লেমস যখন আবাহনীতে যোগ দেন তার আগেই দলটি জয় করেছে ফেডারেশন কাপ। এই অর্জনই তাদের এবারের এএফসি কাপে খেলার ছাড়পত্র এনে দেয়। কিন্তু লেমস দায়িত্ব নেয়ার পর স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে বিদায়। তা বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে। লিগের তারা বসুন্ধরা কিংসের কাছে দুই দফা এবং মোহামেডান ও শেখ রাসেলের কাছে হেরে শিরোপা হারায়। সেই দলটির শেষ ভরসা ছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) টুর্নামেন্টে ভালো করা। তা তিনি করেছেন দলের দেশী-বিদেশী সমস্যদের নিয়ে। তা-ও কখনই তিনি পাননি পূর্ণ শক্তির দল। এক ম্যাচে তপু বর্মণ নেই তো পরের ম্যাচে ফাহাদের অনুপস্থিতি। চার বিদেশীকে পাওয়া যায়নি সব ম্যাচে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেতো দুই বিদেশী সানডে এবং ওয়েলিংটনকে ছাড়াই ভারত জয়। এমনকি সব চেয়ে শক্তিশালী উত্তর কোরিয়ান এপ্রিল ২৫ এর বিপক্ষে এক বিদেশী কম নিয়ে এবং স্থানীয় মামুনুলকে ছাড়াই অসাধারণ এক জয়ের স্বাদ।
অথচ স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা এবং লিগ শিরোপা হারানোর পর কি চাপেই না ছিলেন লেমস। তা স্বীকারও করেন তিনি। জানান, ‘চাপেতো ছিলামই। তখন সব ফোকাস ছিল এএফসি কাপের দিকে। অবশেষে এই আসরে সাফল্য। এ জন্য আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে।’ পর্তুগালের তৃতীয় বিভাগের খেলোয়াড় লেমস কঠোর ফুটবলারদের শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে। আর গুরুত্ব দেন গেম প্লান এবং ট্যাকটিসের ওপর। এই ট্যাকটিসের ওপর ভর করেই শক্তিশালী এবং ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা উত্তর কোরিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দল এপ্রিল ২৫ এর বিপক্ষে জয়। এবারের এএফসি কাপে আবাহনীর সাফল্যকে নিজের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন বলে উল্লেখ করলেন লেমস। সাথে এই কৃতিত্বে ভাগ দিলেন সব খেলোয়াড়কে।
আবাহনীর চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান তিন বার এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। ২০০২ সালে বিলুপ্ত হওয়া সেই আসরে আবাহনীর এক বারও ছিল না গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার রেকর্ড। সেই ব্যর্থতা তারা কিছুটা হলেও ঘুছিয়েছে অপেক্ষাকৃত নিচু সারির আসর এএফসি কাপের নকআউট পর্বে গিয়ে।


আরো সংবাদ



premium cement
নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ : যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজের আবেদন নিষিদ্ধ করল জান্তা সরকার তানজিদ-সাইফুদ্দীনকে নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ৭ জন আটক ইসরাইলবিরোধী পোস্টের দায়ে নাগরিকদের আটক করছে সৌদি পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে সরকারি দলের লুটেরা-ভূমিদস্যুরা : রিজভী টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে ২য় বাকৃবি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দ্বারপ্রান্তে : যুক্তরাষ্ট্র হাটহাজারী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার ‘এতে মজা আছে নাকি, সবাই একদল আমরা’

সকল